এটা জেতা ম্যাচ। অন্তত পাকিস্তানের ইনিংসে ৪৩ ওভার পর্যন্ত তো এজবাস্টনের প্রস্তুতি ম্যাচটা বাংলাদেশেরই ছিল! ৮ উইকেট হারিয়ে হারিয়ে ২৫২ তাদের। জিততে ৪২ বলে ৯০ রান লাগে। ওভার প্রতি প্রায় ১৩ রান! কোনো ব্যাটসম্যান নেই পাকিস্তানের। কিন্তু কোথাকার কোন ফাহিম আশরাফ, যার এখনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা হয়নি, সেই তিনিই কিনা প্রায় একা হাতে হারিয়ে দিলেন বাংলাদেশকে! ৯ নম্বরে নেমে ৩০ বলে ফাহিম খেলেছেন অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস। পেসার হাসান আলি অপরাজিত ২৭ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি তাদের নবম উইকেটে! বাংলাদেশি বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করে শেষ ওভারে ১৩ রানের হিসেব দাঁড় করিয়েছিলেন তারা। মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রথম বলে ফাহিম মারলেন ছক্কা। পরের বলে ৩ রান। এরপর হাসান বাউন্ডারি মেরে শেষ করে দিলেন সব! বাংলাদেশের মুঠো থেকে জয় কেড়ে নিয়ে উৎসবে মাতলো পাকিস্তান। ২ উইকেটের জয় তাদের। ক্রিকেট যে কি মহান অনিশ্চয়তার খেলা!
বাংলাদেশ তাই তামিম ইকবালের দারুণ সেঞ্চুরির পরও জিতল না। ৯ উইকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৪১ রানের পাহাড় গড়েও হারা দল। ৪৯.৩ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪২ রান তুলে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়ল। যে ম্যাচটিতে আসলে শেষ ওই ৭ ওভার ছাড়া জয়ের কোনো আশাই জাগাতে পারেনি তারা।

বার্মিংহামে প্রথম এই প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে সব দিক দিয়েই হারিয়ে দিচ্ছিল বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল, যথার্থই বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বর দল উড়িয়ে দিচ্ছে ৮ নম্বর দলকে। এক পর্যায়ে এও লাগলো যে, পাকিস্তানের তখন আত্মসমর্পণ করা বাকি। ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের কাছে আবার হার তাদের কপালে লেখা দেখা যাচ্ছিল। সব হিসেব বদলে দিলেন ফাহিম। ডান হাতি পেস বোলার বল হাতে মার খেয়েছেন, উইকেট পাননি। কিন্তু যখন কোনো জয়ের আশাই নেই তখন বাঁহাতি ব্যাটিংয়ে ৪টি করে চার-ছক্কায় পুরো পাশাই পাল্টে দিলেন। ১৫ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় হাসান যোগ্য সঙ্গ দিয়ে বিজয়ীর হাসি হাসলেন তার সাথে। -পরিবর্তন