যৌথ প্রযোজনার ‘বস ২’ ছবির ‘আল্লাহ মেহেরবার’ শিরোনামের একটি গান ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে শুক্রবার। সুফিয়ানা ধাঁচের এই গানের সঙ্গে অশ্লীল পোশাক পড়ে নেচে তীব্র সমালোচনায় মুখের পড়েছেন বিতর্কিত চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া।
গানটি প্রকাশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে বইছে সমালোচনার ঝড়। দর্শকরা গানটির ছবি শেয়ার দিয়ে মন্তব্য করছেন- ‘আল্লাহ মেহেরবার’ গানটি ছবি থেকে বাদ দেয়া হোক! আবার কেউ গানটি ‘বস ২’ ছবি থেকে বাদ দেয়ার জন্য চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।`
চলচ্চিত্র সমালোচকরা বলছেন, ‘আল্লাহ মেহেরবার’ গানে নুসরাত ফারিয়া লাল, সবুজ আর কালো রঙের খোলামেলা পোশাক আর আবেদনে ভরা শরীর দেখিয়ে আল্লাহর নাম মুখে নিয়ে নাচানাচি করাটা দৃষ্টিকটু লেগেছে। এ ধরনের গানের কোরিওগ্রাফী যিনি করেছেন এবং এই ছবির প্রযোজক ও পরিচালকের রুচিবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
অথচ একই গানে নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে নায়ক জিৎ হাজির হয়েছেন কালো কাবলি-পাগড়িতে মার্জিত পোশাকে। তবে নায়িকাকে কেন উগ্র আবেদনময়ী করে হাজির করা হলো তারও জবাব চাইছেন অনেকে। কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মুসলমানদের ধর্মীয় চেতনাকে হেয় করা হয়েছে এই গানের দৃশ্যায়ণে। গানটিতে নুসরাত ফারিয়ার এমন খোলামেলা উপস্থিতি কিছুতেই প্রাসঙ্গিক নয়।
তবে সমালোচনার এই বিষয় নিয়ে একদমই ভাবছেন না নুসরাত ফারিয়া। তার দাবি, পুরো ছবিটি দর্শকরা দেখলে ধারণা চেঞ্জ হয়ে যাবে। আর এ বিষয় নিয়ে বেশি কিছু বলতেও চাইলেন না `আশিকী` ছবির এই নায়িকা।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=BJYC0eWgmNI]
এদিকে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই দাবি করছেন, এই গানটা ইচ্ছে করেই এমন কোরিওগ্রাফি করেছে ছবির দুই বাংলার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ও জিতস ফিল্মওয়ার্কস লিমিটেড। এর পেছনে দায়ী করা হচ্ছে জাজের নেতিবাচক মার্কেটিংকে। জাজ মাল্টিমিডিয়ার এই বিষয়ে `সুনাম` রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তার প্রতিটি ছবি মুক্তির আগেই নানা রকম চটকদারি কথা ছড়িয়ে ছবির পাবলিসিটি চালায়। কিন্তু সেইসব কথার কোনো ভিত্তি থাকেনা ওইসব ছবিতে।
এমনকী এই নুসরাত ফারিয়াকেও নিজেদের নায়িকা হিসেবে ঘোষণার দিন পাবলিসিটির জন্য বলিউডের নায়ক ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করার গুজব ছড়িয়েছিলো জাজ। যার কোনো সম্ভাবনাই আজ অব্দি দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়টিরও সমালোচনা করছেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।
২০১৩ সালে জিতের সুপারহিট ছবি `বস` এর সিকুয়ালে নির্মিত হয়েছে `বস-২`। এই ছবিকে যৌথ প্রযোজনার ছবি বলা হলেও `বস-২` ছবির পরিচালক একজনই, তিনি বাবা যাদব। নেই তারকা, টেকনিশিয়ান ও শুটিং স্পটের ভারসাম্যও।
এত সমালোচনা, অনিয়ম ও প্রতারণার পরও এই ছবি কেমন করে বাংলাদেশের সেন্সর বোর্ডে মুক্তির ছাড়পত্র পাবে, সেটাই দেখার বিষয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।