এম.এ আজিজ রাসেল :

কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ও খুরুশকুল ইউনিয়নে অবৈধ পাহাড় কাটা-বৃক্ষ নিধন ও পরিবেশ রক্ষায় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৩ মে সকাল ১০ টায় পিএমখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে ও বনবিভাগ উত্তর এর টহলদলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান এর পরিচালনায় কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষা, পাহাড়কাটা রোধ ও বৃক্ষ নিধনসহ পরিবেশ রক্ষায় যাবতীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কেরামত আলী মল্লিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারি পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম ও সহকারী বন সংরক্ষক (উত্তর) বেলাল হোসেন।

এসময় মতবিনিময় সভায় স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিরা সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, পিএমখালী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন তাজ মহল, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজল, পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাল, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন বাবুল, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা নুরুল আজিম, খুরুশকুল ইউপির ১নং ওয়ার্ড মেম্বার শেখ কামালসহ স্থানীয় সমাজসেবক, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সভার প্রধান অতিথি কেরামত আলী মল্লিক বলেন, পাহাড়কাটার সাথে বনবিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জড়িত থাকলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। পরিবেশ ও বনবিভাগের মামলায় নিরহ মানুষ আসামী হয়ে থাকলে তা তদন্ত সাপেক্ষে নির্দোষদের নাম প্রত্যাহার করা হবে। সম্মিলিত প্রয়াসে মাধ্যমে পাহাড়কাটাসহ পরিবেশ বিরোধী কর্মকান্ড রোধ করা সম্ভব। তিনি সকলের সমন্বয়ে একটি গ্রহনযোগ্য কমিটি করার আশ্বাস দেন।

এতে উপস্থিত অধিকাংশ বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, পিএমখালীতে কিছু অসাধু লোক সরকারী দল ও প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে অবৈধ ভাবে পাহাড়কাটা, বৃক্ষনিধন, পরিবেশ দূষন করে যাচ্ছে। কিন্তু কেন সেই প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।

তাদের বলিরফাঁটা হিসেবে বারংবার সাধারণ নিরহ মানুষ পরিবেশ ও পাহাড়কাটা অভিযোগে মামলার আসামি হচ্ছে। কিন্তু আসল পাহাড়খেকো রাঘববোয়ালরা অধরা রয়ে যাচ্ছে। কথিত বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারাও এসব অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। এতে উপস্থিত সকলেই আগত অতিথিদের বলেন, সাধারণ জনগণ যাতে আসামী না হয় সেদিকে আগামিতে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় পরিবেশের ক্ষতি ও পাহাড়কাটা রোধে কেউ এগিয়ে আসবেনা।