মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:
বাংলাদেশ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটির নিমার্ণ কাজ শেষ। করে নাগাদ এ জেটি শুভউদ্বোধন হবে পৌরবাসী অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে। ২০১৪ সালে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা ব্যায়ে ৫৫০ মিটার বাংলাদেশ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটির কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের মে মাসে শেষ হয়। এটি নির্মিত হওয়ায় টেকনাফের চেহারা বদলে যাবে। এই জেটির জন্য পৌরবাসী দীর্ঘদিন প্রতিক্ষায় ছিল। অবশেষে এমপি বদীর আপ্রাণ প্রচেষ্টায় ট্রানজিট জেটিটি নির্মিত হলো। টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ার নাফ-নদীর তীরে নির্মিত দীর্ঘতম জেটিটি দেখার জন্য বিকালে দর্শনার্থীদের এক মিলনমেলায় পরিনত হয়। সম্প্রতি দৈনিক পূর্বকোনের আফসার মাহমুদ সাব এডিটর সহ-পরিবার পরিজন নিয়ে নব নির্মিত জেটিটি পরিভ্রমণ করে বলেন, এক অপূবর্ দৃশ্য নাফ-নদীর বুকে দীর্ঘ জেটিটি দেখে তিনি অভির্ভূত হয়েছি। বাংলাদেশ মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিটি নির্মিত হওয়ায় এতদাঞ্চলে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে এবং পর্যটকদের পদ চারনা ও বৃদ্ধি পাবে। এ জিটিটি ট্রানজিট ছাড়াও টেকনাফ টু সেন্টমার্টিন পর্যটকদের জন্য ব্যবহৃত হলে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া এই জেটির সাথে আরও একটি বিকল্প সড়কের ্প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন। নচেৎ টেকনাফ পৌর ষ্টেশানে যানজট লেগে থাকবে।
এ উদ্দেশ্যে সাংসদ আব্দুর রহমান বদী টেকনাফ উপজেলা পরিষদের পুর্বে চিংড়ী প্রদর্শনী খামারের দক্ষিনে কে কে খালের উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের উদ্দ্যোগ নিয়েছেন। সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তাসহ এমপি বদী প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শন করেন।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, প্রস্তাবিত সড়ক জেটি নির্মাণে উধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে অতি শিগ্রী বিকল্প সড়কের কাজ শুরু হবে। তাহলে টেকনাফ পৌর শহরের গুরুত্ব ও চেহারা পাল্টে যাবে।