ডেস্ক নিউজ:
বনানীতে ধর্ষণ মামলার দুই আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের নিয়ে পুলিশের বিশেষ টিম রাজধানীতে পৌঁছায়। পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (এআইজি, গোপনীয়) মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাফাত ও সাদমানকে ঢাকায় ডিবি পুলিশের কার্যলয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিলেটের জালালাবাদ থানাধীন পাঠানতুলা এলাকার রশীদ ভিলার দ্বিতীয় তলা থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ। এর প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা পর সিলেট মহানগর পুলিশের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিলেট মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আল মুসা।.

safat and sakifসিলেট মহানগর পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে ঢাকার গোয়েন্দা দল সাফাত ও তার সহযোগীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়। এর ভিত্তিতে গোয়েন্দা পুলিশ ও সিলেট জেলা মহানগর পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।

এদিকে নাঈম আশরাফসহ ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা যাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যেতে না পারে সেজন্য সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।.

যে বাড়ি থেকে সাফাত ও সাদমানকে গ্রেফতার করা হয়প্রসঙ্গত, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।