আবুল বশর পারভেজ, মহেশখালী:
মহেশখালী কলেজকে জাতীয় করন করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সরকারী জাতীয় করন এর সকল নীতিমালা অনুসরন করে কেন মহেশখালী কলেজকে জাতীয় করন করা হয়নি সে বিষয়ে একটি রীট আবেদন করেন মহেশখালী কলেজের শিক্ষক বড় মহেশখালীর কৃতিসন্তান অধ্যাপক জামাল উদ্দিন। মহেশখালী কলেজটি জাতীয় করনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রদানের পরও মহেশখালী কলেজকে জাতীয় করনের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজকে জাতীয় করনের তালিকায় অর্ন্তরভূক্ত করে। এ তালিকায় মহেশখালী কলেজকে কেন জাতীয় করণ করা হবে না সে বিষয়ে গত ৩০ জুন মহেশখালী কলেজকে জাতীয় করনের দাবীতে একটি রীট পিটিশন দাখির করে। এর প্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে কারন দর্শায়। একই সাথে বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজ জাতীয় করনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার আদেশ দেয়। মহেশখালী কলেজের রীট পীটিশনের আলোকে ০৮/-৫/১৭ইং মহামান্য হাইকোর্টের দৈত ব্যঞ্চ এর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক শুনানী শেষে বিচারপতিগণ সন্তোষ্টি হয়ে মহেশখালী কলেজকে জাতীয় করনের আদেশ প্রদান করে। মহেশখালী কলেজের পক্ষে রীট পিটিশনে শুনানী করেন ব্যারিষ্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী।
অভিযোগ উঠে, মহেশখালী কলেজ জাতীয় করণের ক্ষেত্রে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জাতীয় করণের মূল তালিকা থেকে বাদ পড়ে মহেশখালী কলেজ। এ সিন্ধান্তে বিরুদ্ধে তেমন প্রতিবাদ করতে না পারলেও মনের ক্ষোভে ফেটে পড়ে মহেশখালীর আমজনতা। নীরবে সহ্য করে অপেক্ষা করে ন্যায় বিচারের প্রত্যশায়। অবশেষে ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে আর সরকারী নীতিমালার আওতায় মহামান্য আদালতএকটি যুগান্তকারী ও ন্যায় বিচারের স্বীকৃতি দেওয়ায় মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করেন শত শত অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।