মোঃ আশেকউল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:

টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়ক টেকনাফ পৌরসভার প্রবেশদ্বার নাফ-নদী এবং পাহাড়ের মধ্যবর্তী যার নামে পরিচিত “টেক বাঁকে” উঠনী নামের সড়কটি এখন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। স্বাধীনতার ৪৫ বছরে এ জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনী। অথচ এ সড়ক দিয়ে সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উচ্চ প্রদস্থ কর্মকর্তাগণ যাতায়াত করলেও টেক নামক উঠনি সড়কটি উন্নয়ন ব্যাতীত বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। যাত্রীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে অতীতে অনেক সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে। টেকনাফ কক্সবাজার সড়কে “উঠনি” নামক সড়ক ঢাকার রাজধানীর দুরপাল্লা গামী বাস, স্থানীয় যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মাইক্রো, প্রাইভেট গাড়ী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে আসছে। টেকনাফ বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফ-নদী ও সাগর বেষ্ঠিত একটি আকর্ষণীয় পর্যটন শহর। এখানে প্রতিবছর পর্যটন মওসূমে দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের ঢল নামে। এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইব সড়ক, সাবরাং কাটাবনিয়ায় অর্থনৈতিক জোন, নাফ নদীতে জেগে উঠা জালিয়ারদ্বীপে পর্যটকদের আকৃষ্ঠ করতে ঝুলন্ত সেতু নিমার্ণসহ বিভিন্ন সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া টেকনাফ সেন্টমার্টিদ্বীপ যাতায়াত করবে আগামী বছর টেকনাফ পৌর শহর চৌধুরী পাড়া নাফ নদীর তীরে স্থাপিত বাংলাদেশ মিয়ানমার ট্রানজিটঘাট দিয়ে। এতে করে টেকনাফ কক্সবাজার সড়কের পৌরসভার প্রবেশদ্বার নাফ-নদীর তীরে “টেক” নামক “উঠনি” সড়কটি হয়ে উঠবে জনঝট। এ উঠনি সড়ক দিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস অন্যবাহী বাসকে সাইট দিতে পারেনা। অনেক সময় উঠনীর সড়কের উপরে গিয়ে বাস বা গাড়ী বিকল হয়ে পড়ে। এ সড়কের পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনা হলে সরাসরী নাফ-নদীতে গড়িয়ে পড়বে যাত্রীবাহী বাস ও মালামালবাহী পরিবহন। এ উঠনি নামক সড়কটি উন্নয়নের আওতায় না আনলে সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনাফ কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকত ৮৬ কিঃ মিটার মেরিন ড্রাইব সড়ক উদ্বোধন করবেন। এর পর থেকে সড়ক উম্মোক্ত হয়ে যাবে এবং ব্যস্ত হয়ে পড়বে মেরিন ড্রাইব সড়ক। টেকনাফ কক্সবাজার সৈকততীরে নির্মিত “মেরিন ড্রাইব” সড়কে অতিরিক্ত যানবাহন কমাতে হলে টেকনাফ-কক্সবাজার পুরাতন আঞ্চলিক সড়কের প্রশস্থ করণসহ টেকসই উন্নয়ন প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। বিশেষ করে এ সড়কের টেকনাফ উঠনি সড়কটি নাফ-নদীর তীরের পরিবর্তে সুজা পাহাড়ের ভিতর দিয়ে সড়কটি নির্মিত হলে, যাত্রীসকল এ মরণ ফাঁদ এবং ঝুঁকি থেকে রেহায় পাবে। গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে টেকনাফ বাসীর প্রত্যাশা পূরনের জন্য অপেক্ষা করছে।