বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পর স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দূর্বিত্তরা।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে সদরের পিএমখালী পরনিয়া পাড়া এলাকায় বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ধর্ষিতা স্থানীয় বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও সদরের পিএমখালী পরানিয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ধর্ষনের শিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলের যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘরথেকেবের হলে, খুরুস্কুল এলাকার আবুল কালামের ছেলে নাছির উদ্দিন ও মিজানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পাশ্ববর্তী স্থানে উৎপেতে থাকে। পরে সুযোগ বুঝে ঐ ছাত্রীকে অস্ত্রের মুখে অপহর করে নিয়ে যায় তারা। এসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাধা দিয়ে সন্ত্রাসীরা এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে।
ধর্ষিনের শিকার স্কুল ছাত্রী জানান, তাকে কয়েকজন যুবক অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে জোর পূর্বক সিএনজি ট্রেক্সিতে তোলে কলাতলীর একটি বহুতল ভবনে নিয়ে গিয়ে নাছির নামের এক যুবক তারা ধর্ষণ করে। এবং বিকেলে সন্ত্রাসী নাছির তাকে বাংলাবাজার এলাকায়ফেলে চলে যাওয়ার সময় ছাত্রীটি চিতকার করলে স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পিএমখালীর চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম শালিশী বৈঠকের কথা বলে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে পিএমখালী ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাস্টার আব্দুর রহিম জানান, ওই মেয়েটিকে অপহরণের খবর জানতে পেরে তাদের দুই জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। পরে স্থানীয় মেম্বাররাসহ শালিশী বৈঠকে বসে। বৈঠক চলাকালে কিছু দূর্বিত্ত মেয়েটির বাসায় হামলা চালিয়ে ছেলেটিকে নিয়ে যায়। বর্তমানে ওই ছাত্রীকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, আমি সারাদিন ট্রেনিং ছিলাম। বিষয়টি জানা ছিল না। থানায় খবর নিয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।