বিশেষ প্রতিবেদক:
সদর উপজেলার খরুলিয়া মকবুল সওদাগর পাড়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এর ২১ শতক জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঝিলংজা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছলিমুল হক সওজ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন বিহীন আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ওই স্থাপনা নির্মাণ করছে। একই সাথে সে পাশ্ববর্তী আলহাজ্ব ফরিদুল আলম চৌধুরীসহ এলাকার সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা দখল করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে জনমনে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উত্তর পার্শে¦ খরুলিয়া মৌজার বিএস ২২৯৭ নং দাগের ২১ শতক জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করছে মরহুম বদরুজ্জামানের পুত্র মেম্বার ছলিমুল হক। অথচ মহাসড়কের ৫০ ফুট জমির সওজের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় কোন রকম স্থাপনা বা গাছ রোপণ করা নিষেধ রয়েছে। কিন্তু এই আদেশ উপেক্ষা করে অবৈধভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সে। এছাড়া স্থাপনা নির্মাণে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কোন রকম ছাড়পত্রও নেয়া হয়নি। সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত প্রভাব খাটিয়ে ওই মেম্বার সওজের জমি দখলের পাশাপাশি জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা নিজের আয়ত্বে করেছেন। এ বিষয়ে মেম্বার ছলিমুল হকের প্রতিবেশি আলহাজ্ব ফরিদুল আলম চৌধুরী রাস্তা দখলের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। যার আলোকে সদর থানার অপারেশন অফিসার আবদুর রহিমসহ তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে চলাচলের রাস্তা বেদখল করলেও পরে তা আবারো দখলে নিয়েছে মেম্বার ছলিমুল হক। একই ভাবে সহকারি কমিশনার ভূমি পঙ্কজ বড়–য়া বরাবর অভিযোগও করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি বিষয়টি কানুনগো যাচাইপূর্বক রিপোর্ট দেয়ার জন্য অবহিত করেছেন। তবে এসবের কিছুতেই কর্ণপাত না করে প্রায় ১২/১৫ জন শ্রমিক দিয়ে ছলিমুল হক স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে। মজুদ করেছে ইট, বালি ও কংক্রিটের বিশাল স্তুপ। ইতোমধ্যে সওজের জায়গাতে চারপাশে পিলার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে যে কোন মুহুর্তে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে। তাই জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সুনজর কামনা করেছেন সচেতন মহল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।