বিশেষ প্রতিবেদক
কক্সবাজার শহরে পাহাড়তলী সাত্তারঘোনায় কারান্তরীণ এক ব্যক্তির বসতভিটা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এরই মধ্যে কয়েক দফা দখলের অপচেষ্টা চালিয়েছে। এতে বাধা দেয়ায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বৃদ্ধাসহ দু’মহিলাসহ তিনজনকে গুরুতর জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ২৮ এপ্রিল এই হামলা চালানো হয়। হামলায় আহতরা হলেন, ওই এলাকার বাসিন্দা কারান্তরীণ ছৈয়দ আলম প্রকাশ হাতকাটা ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সনজিদা বেগম, মা মনোয়ারা বেগম ও বাবা আবদু শুক্কুর। এ ঘটনায় সনজিদা বেগম বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পাহাড়তলী সিরাজের ঘোনার সিরাজুল হকের পুত্র ফজল আহামদ, সাত্তারঘোনার বর্মাইয়া ইউসুফ, হাফেজ আহামদ, জিয়ানগরের তৈয়বা বেগম, শাকের, জাবেদ, ইসলামপুরের বর্মাইয়া শাহ আলম, মনিউজ্জামান ও সোনা মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘ দিন ধরে কারান্তরীণ ছৈয়দ আলমের পরিবারের সাথে শত্রুতা করে আসছে। এই সন্ত্রাসীরাই যোগসাজস করে ছৈয়দ আলমের দু’হাত কেটে নিয়েছিল। তারপরও তারা ক্ষান্ত হয়নি। এক পর্যায়ে ছৈয়দ আলমকে ফাঁসাতে একটি হত্যা মামলায় তাকে আসামী করে ওই সন্ত্রাসীরা। এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে বন্দি রয়েছে ছৈয়দ আলম।
ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সনজিদা বেগম অভিযোগ করে জানান, ছৈয়দ আলম জেলে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের বসতভিটার উপর কুনজর দেয়। তারা ছৈয়দ আলমের বসভিটাটি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। দখল করতে এরই মধ্যে কয়েক দফা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সর্বশেষ ২৮ এপ্রিল সন্ত্রাসীরা এক দুর্ধর্ষ হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে তারা ছৈয়দ আলমের বসতবাড়ি ভেঙে দিয়েছে। এসময় হামলা বাধা দেয়ায় ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সনজিদা, মা ও বাবাকে বেদড়ক মারধর করে। এতে তারা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়।
ভুক্তভোগী সনজিদা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এলাকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় আমার স্বামী ছৈয়দ আলমের দু’হাত কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এরপরও তাদের জুলুম থেকে আমাদের রক্ষা হচ্ছে না। এখন আমার স্বামী না থাকায় সন্ত্রাসী আমাদের বসতভিটা দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমরা চরম অসহায় হয়ে দিন যাপন করছি। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’