ঢাকা ব্যুরো:
ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ আকতারুজ্জামান বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের অবস্থান শক্ত হচ্ছে। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্নার শান্তি কামনা করে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় গভীর শ্রদ্ধাভরে দিনটি উদযাপন করে যাবে।
কক্সবাজার-রামু ছাত্র পরিষদ, ঢাকা বিস্ববিদ্যালয় আয়োজিত ২৯ এপ্রিলের স্মরণে আয়োজিত সেমিনার ও র্যালিতে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনারে তিনি কক্সবাজার-রামুর ছাত্রদের কৃতজ্ঞতা জানান দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য। তিনি বলেন, ছাব্বিশ বছর পর আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপকূলীয় অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিই প্রমাণ করে দুর্যোগ কখনো আমাদের মাথা নত করেনি। তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় সচেতনতা সহ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনস্টিউট অব ডিসেস্টার ম্যানেজমেন্টের পরিচালক ডঃ মাহবুবা নাসরিন। তিনি দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের যে কোন দুর্যোগে পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল ফোরকান আহমেদ। তিনি তাঁর নাতিদীর্ঘ বক্তব্যে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের স্নৃতিচারণ করেন যখন তিনি সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে আক্রান্তাঞ্ছলে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন কক্সবাজারের কোন উন্নয়ন পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে করা হবেনা। উন্নয়নের প্রশ্নে দুর্নীতি ও পরিবেশ বিপর্যয়কে কোনভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। কক্সবাজার উন্নয়ন কতৃপক্ষের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি। তিনি উপস্থিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে সবার আগে পড়াশোনা করে ভাল মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন ।
এ সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রামু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুজন শর্মা, প্রচার,প্রকাশনা ও সাহিত্য সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, কক্সবাজার-রামু ছাত্র পরিষদের সভাপতি সেলিমুল্লাহ সুজন, সাধারণ সম্পাদক খুরশেদ আলম। সঞ্ছালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোহাম্মদ জুবায়ের।
পরে রামু সমিতি, ঢাকা ও কক্সবাজার-রামু ছাত্র পরিষদ , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় Peoples Climate March 2017 র্যালিতে অংশ নেন। উক্ত র্যালিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসেস্টার ম্যানেজমেন্টের ছাত্ররাও অংশ নেন। র্যালি শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ উপাচার্য আকতারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জলবায়ু সচেতনতায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জলবায়ু সচেতনতায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সব দেশের একীভূত থাকার উপর জোর দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।