বার্তা পরিবেশক:
ট্যুর অপারেটরস্ এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) বাংলাদেশ এর ফাউন্ডার কমিটি ও সাধারণ সদস্যদের সমন্বয়ে এক সাধারণ সভা অদ্য ২২/০৪/২০১৭ইং তারিখ ফাউন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান এম. এ. হাসিব বাদলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ খোরশেদ আরা হক এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও টুয়াকের সাবেক আহ্বায়কজনাব মফিজুর রহমান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওশান গ্রুুপের চেয়ারম্যান পর্যটন উদ্যোগক্তা ড. খন্দকার আলী আজম। সভাপতির অনুমতিক্রমে সভা সঞ্চালনা করেন জনাব এস. এ. কাজল এবং কোরআন তেলওয়াত করেন মুকিম খাঁন (রিভার ভিউ ট্যুরস্)।
মধ্যহ্নভোজের পর সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে টুয়াকের বর্তমান কার্যকরি কমিটির বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, অবৈধ বহিষ্কার কার্যক্রম, সভাপতির সংগঠন বিরুধী কর্মকান্ডে অনাস্থা দিয়ে কমিটির সদস্যদের পদত্যাগ ইত্যাদি বিষয় এজেন্ডায় আনা হয়। টুয়াকের বর্তমান কার্যকরি কমিটিকে দায়িত্ব প্রদানের পর দেড় বৎসর অতিবাহিত হলেও কোন প্রকার সাংগঠনিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারেননি উক্ত কমিটি। সংগঠনের বিগত ২৫/০৬/১৬ইং তারিখের বার্ষিক সাধারণ সভায়, সাধারণ সদস্যরা বর্তমান কার্যকরি কমিটির নিন্মোক্ত বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের প্রতি অনাস্থা প্রদান করেন এবং তাদের সমস্ত ব্যর্থতা সংশোধনের জন্য তিন মাস সময় বেঁধে দিয়েছিল।
নির্ধারিত তিন মাস পেরিয়ে দশমাস অতিবাহিত হলেও কোন সুরাহা না করে বরঞ্চ সংগঠনকে ধ্বংসের মুখে পতিত করেছে। বর্তমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে চরম দ্বন্ধের কারণে আমাদের চৌদ্দ (১৪) বৎসরের ত্যাগে গড়া সংগঠনের ভাবমুর্তি ও কাঠামোকে উক্ত কমিটি ধুলায় মিশিয়ে দিতে চলেছে। অযোগ্য এই কমিটি সংগঠনের নিয়ম-নীতি অমান্য করে সাধারণ সদস্যদের অনুমোদনবিহীন ও নামভাঙ্গিয়ে বহিষ্কার আদেশ প্রদান, নির্বাচনকালিন গচ্ছিত অর্থ তচরুপ, সংগঠনের দেনা পরিশোধ না করা, হিসাব অনুমোদন না নেওয়া, অর্থ গ্রহনের মাধ্যমে অযোগ্য ও অফিসবিহীন সদস্যপদ প্রদান, সংগঠনের আয়ের খাত সমুহ বন্ধ করা, পর্যটন মেলা আয়োজনে ব্যর্থতা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অসস্মান করা, সংগঠন ব্যবহার করে ব্যক্তিগত সুবিধাভোগ করা, সভা ও কার্যক্রম সমুহ নিয়মিতভাবে পরিচালনা না করা, ট্যুর অপারেটিং ব্যবসা বাস কাউন্টারের হাতে তুলে দেয়া, ভুয়া কার্যবিবরণি খাতা ব্যবহার করা, সংগঠনের নাম পরিবর্তনের প্রচেষ্ঠা করা, পত্র-পত্রিকায় জয়েন্ট স্টক নিবন্ধন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করাসহ নানা ধরনের অর্মাজনীয় অপরাধ সংগঠিত করেছে।
চলমান এই অবস্থায় কার্যকরি কমিটির বেশ কিছু সদস্যের পদত্যাগের কারণে সংগঠনের কার্যক্রম মুখথুবড়ে পড়েছে। সংগঠনের এই সংকটময় দশা হতে মুক্ত করতে এবং টুয়াক বাচাঁতে অদ্যকার সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে বর্তমান কার্যকরী কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করে নয় (০৯) সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি ও চার (০৪) সদস্য বিশিস্ট একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ফাউন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান জনাব এম. এ. হাসিব বাদলকে প্রধান করে ঘোষিত আহবায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কামরুল ইসলাম (কক্স কুইন ট্যুরিজম), ছৈয়দুল হক (গ্রীন ভিউ ট্যুরস) জনাব আনোয়ার কামাল আনু (রাঙ্গাবালি কক্স ট্যুরিজম), আবু হেনা মোস্তফা শাহাজান (ড্রীম ট্যুরিজম সার্ভিস), ইফতেকার চৌধুরী (গ্রীন সাফারী ট্যুরস), আল আমিন বিশ্বাস তুষার (ফারসেম ট্যুরিজম), হোসাইন ইসলাম বাহাদুর (ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম) এবং এস. এ কাজল (রাজধানী ট্যুরিজম)।
তাছাড়া জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান কে (সী গ্রেট এন্টারটেইনমেন্ট এন্ড ট্যুরিজম) প্রধান সমন্বয়কারি করে গঠিত সমন্বয় কমিটির অন্যান্যরা হলেন- তোফায়েল আহমেদ ( বে অব বেঙ্গল গ্রুপ ট্যুরিজম), সাহেদুল ইসলাম সাহেদ ( সোনারগাঁ ট্যুরিজম) এবং জনাব মো: দিদার হোসেন ( সিটি গার্ডেন ট্যুরস)। সভায় গৃহিত অন্যান্য সিদ্ধান্ত সমুহ হল- আহবায়ক কমিটি আগামী চার (০৪) মাস পর সুষ্ঠ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন এবং সেই সাথে সংগঠনের রেজুলেশন বইসহ যাবতীয় মালামাল ও অফিসের দায়িত্বভার আহবায়ক কমিটির হাতে ন্যাস্ত করার জন্য বিলুপ্ত ঘোষিত কমিটিকে লিখিত নির্দেশ প্রদান করবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।