শামীম ইকবাল চৌধুরী,নাইক্ষ্যংছড়ি:
রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমনিয়া থেকে দোছড়ি পর্যন্ত দুই কিলোমিটার গভীর খাল খনন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক যুগ খালটি ভরাট হয়ে অব্যবহৃত থাকার পর সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ডাবল লিফ্টিং সেচ প্রকল্প (ঢাকা) আওতায় কক্সবাজার বিএডিসি জোনের উদ্যেগে ২০১৬-১৭ অর্থ বছর এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে। ফলে শুকমনিয়া, এলাকার বেশ কয়েক গ্রামে জলবদ্ধতা নিরসনের পাশাপশি অন্তত ২০০ হেক্টর কৃষি জমি সেচ সুবিধার আওতায় এসেছে। সেইসাথে জলাবদ্ধতা নিরসনের কারণে শুধুমাত্র এসব এলাকায় ধান মৌসুমে হাজার টন অতিরিক্ত ধান উৎপন্ন হবে।

বিএডিসির কক্সবাজার জেলার সহকারী প্রকৌশলী মো: শরিফুল ইসলাম জানান- বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পন্ন করে গড়ে তোলা। এ কারনে বিএডিসির মাধ্যমে জলবদ্ধতা দূরীকরণ ও ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কচ্ছপিয়ার জলাবদ্ধপ্রবণ বিল এলাকায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের আওতায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এ ধরণের খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। যা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের অন্তত দুই শত একর কৃষি জমিতে ভূমির উপরিভাগের পানি ব্যবহার করে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। যার ফলে অতিরিক্ত ধান উৎপন্ন হবে।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো: ইসমাইল নোমান জানান- রামু উপজেলার কচ্ছপিয়ায় দুই কিলোমিটার খাল পুণ:খনন করা হয়েছে। এর ফলে এসব এলাকার জলবদ্ধতা যেমন দুর হবে তেমনি এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসন, বিলের পানি সংরক্ষণ, নিস্কাশন ও সেচ অবকাঠামো নির্মানের মাধ্যমে খাল ও বিলপার্শবর্তী কৃষকরা পানি সেচ কাজে ব্যবহার ও মৎস্য চাষ করতে পারবে।
প্রকল্প এলাকা কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের শুকমনিয়া (আশার বাপের ছড়া) গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে সদ্য খননকৃত দুই কিলোমিটার খাল খননের ফলে এলাকার কৃষকরা ইতিমধ্যে ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে আউস ও আমন মৌসুমে জমিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ায় তারা আনন্দিত।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান- কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট দুই কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি জামছড়ি থেকে দোছড়ি নদীর সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এই খালের ফলে শুকমনিয়া, দোছড়ি, বালুবাসা গ্রামের মানুষ জলাবদ্ধতা নিরসন হওয়ার পাশাপাশি খালের পানির মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে নাব্যতা হারানো খাল ছড়া খনন করা হলে কৃষকের সেচ সুবিধার পাশাপাশি আগামীতে এলাকায় দেশীয় মাছের যোগান বাড়বে।
এলাকার কৃষক নবিউল আলম জানান- এ খাল খননের ফলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনের সুযোগ হয়েছে। যেখানে তারা ফসল আবাদের আশা করছেন।
এদিকে ৭এপ্রিল খাল খনন প্রকল্প এলাকা পরিদর্শণ করেছেন বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী সুলতান আহমদ। এসময় স্থানীয় কৃষকরা উক্ত খালের নিচের অংশে আরো দেড় কিলোমিটার খাল খননের জন্য দাবী জানান।