মো:রফিক উদ্দিন লিটন, ঈদগাঁও:

বৃহত্তর ঈদগাঁও তথা ছয় ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে সম্প্রতি দফায় দফায় গরু চুরি ঠেকাতে  মাঠে নেমেছে  ঈদগাঁও পুলিশ।  গত ২/১ দিন পূর্বে ঈদগাঁওর শিয়াপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় নানা অপরাধ-অপকর্ম, গরু চোর, ডাকাত প্রতিরোধে ঈদগাঁও পুলিশের ইনচার্জ খায়রুজ্জামানের নেতৃত্বে দু’দফা অভিযান পরিচালিত হয়।প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ৬ এপ্রিল গভীর রাতে ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনা এলাকা থেকে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ উদ্দিনের বাড়ী সহ তিন পরিবার থেকে সাতটি গরু নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী খবর পেয়ে এগিয়ে আসলে ডাকাতদল ফাকা গুলি ছুড়ে গরু নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। উক্ত গরু  ডাকাতির তিনদিন পার হতে না হতেই আবারো একই ইউনিয়নের উত্তর মাইজ পাড়া থেকে ৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে চার পরিবার থেকে এগারটি গরু চুরি করে নিয়ে যায়।

এদিকে সংগঠিত ঘটনায় জড়িত প্রকৃত চোর সিন্ডিকেট চক্ররা এখনো অধরা রয়েছে। বৃহত্তর ঈদগাঁও সহ গ্রামাঞ্চল থেকে সম্প্রতি গরু চুরির মত হীন কর্মকান্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ী সহ জনমনে চরম আতংক বিরাজ করছে।এই নিয়ে শান্তিতে নেই পশু পালিত লোকজন। অন্যদিকে বেকায়দায় পড়েছিল স্থানীয় প্রশাসনও। এবার গরু চুরি সহ বৃহত্তর এলাকায় নানা অপরাধ অপকর্ম ঠেকাতে হার্ডলাইনে মাঠে নেমেছে ঈদগাঁও পুলিশ। গভীর রাত্রে লোকজন ঘুরাফেরা করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করছে প্রশাসন। সে সাথে রাত্রিকালীন সময়ে অযথা ঘুরাফেরা না করার প্রতি আহবান জানিয়েছেন  ঈদগাঁও পুলিশের ইনচার্জ খাইরুজ্জামান।
সচেতন মহলের মতে, এ বিশাল এলাকা জুড়ে যদি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সহায়ক হিসাবে কমিউনিটি পুলিশরা একটু সচেতন হয় তাহলে এলাকাতেই চোরের প্রবনতা অনেকটা কমে আসবে এবং স্থানীয় প্রশাসন যদি রাত্রীবেলায় সড়ক-উপসড়কে টহল কার্যক্রম জোরদার রাখে তাহলে কখনো চুরির মত হীন  কর্মকান্ড ঘটতে পারবেনা।

এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,বৃহত্তর ঈদগাঁওতে অপরাধ-অপকর্ম দমনে পুলিশী টহল অব্যহত রাখার পাশাপাশি গরু চুরির মত হীনকর্মকান্ড ঠেকাতে শক্ত অবস্থান তথা হার্ডলাইনে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ।