কাদের হোছাইন , ডুলাহাজারা :
চকরিয়া উপজেলা ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাট এলাকায় বন বিভাগের ২০০৫-০৬ সনে সৃজিত সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হত্যার মামলা সহ বন মামলার আসামী ০২ ওয়ার্ড পূর্ব ডুমখালী এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে আজল হাইয়া। সে গত ১০ই এপ্রিল রহস্যজনক কারণে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসের সামনে মালুমঘাট ২০০৫-০৬ সালে সৃজিত সমাজিক বনায়নের গাছ কেটে ঘর নির্মান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীনস্থ ডুলাহাজারা বন বিটের ২০০৫-০৬ সনের সৃজিত সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী কাটাখালীর এলাকার মরহুম মৌনালা আব্দুর রশিদ হুজুরের ভাইয়ের ছেলে শফিকুর রহমানের বাগানের গাছ কেটে ঘর নির্মান করে জায়গাটি জবর-দখল করে আছে। এই জবর-দখলকারী ও বনখেকো সন্ত্রাসী দলের লিডার হওয়ায় তাকে উক্ত জয়াগা থেকে উচ্ছেদ করার সাহস পাচ্ছে না সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা। তাকে বাঁধা দিতে গেলে বা উচ্ছেদ করতে গেলে প্রাণ নাশের সম্ভাবনাও রয়েছে। উপকারভোগীরা জানায় , আজল হাইয়া এই এলাকায় দীর্ঘ কয়েক বছর ধরিয়া বন বিভাগের গাছপালা কেটে পাঁচার কাজে লিপ্ত সহ জায়গা জবর দখল , চিংড়ী ঘের ডাকাতি ও মানুষ গুম করা সহ আরো বিভিন্ন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। সে রহস্য জনক কারণে খুনের মামলা থেকে বেরিয়ে এসে আবারও এলাকায় এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করিয়াছে। যদি তার বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে আবারও উক্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সহ জবর-দখল , খুন খারাপি হবে বলে আশংকা করেন এলাকার সচেতন মহল। তাই সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীগণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ সহ উক্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের দাবী জোর জানিয়েছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।