মহেশখালী প্রতিনিধি:

মহেশখালীর কুতুবজোমে সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা বিএনপি নেতা শফি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা গুলি বর্ষণ লুঠপাট, ৩ মহিলা আহত।

ঘটনাটি ঘটেছে ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ২টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বটতলা গ্রামে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলাবার সকালে কুতুবজোম সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাওলানা শফিউল আলম ও তার ভাই মোহাম্মদ মিলে শতাধিক শ্রমিক নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন এর বাড়ীর পার্শ্বে একটি চিংড়ী ঘের তৈরী করে । এ বিষয়ে সরকারী জমি দখল করে অবৈধভাবে চিংড়ী তৈরী করার কাজে বাধা দেয় বর্তমান কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ ও মহেশখালী থানা পুলিশ। মহেশখালী থানা পুলিশ অবৈধ চিংড়ী ঘের দখল মুক্ত করে চলে গেলে এ ঘটনায় মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আনছার কোম্পানীর সংশ্লিষ্টতা আছে এমন অজুহাতে বিকাল ২টায় শফি চেয়ারম্যান ও মানবপাচারকারী মো: কাশেম ও আরিফ ,মোহাম্মদ এর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতা আনসার কোম্পানীর বাড়ীতে হামলা চালায় এবং বাড়ী লক্ষ্যকরে গুলি বর্ষণ করে। বাড়ীতে ঢুকে ঘরের আসবাব পত্র তছনছ করে । স্বণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পুলিশ সংবাদ পেয়ে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করলে বন্দুকধারীরা পালিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া ককটেল ও  গুলি উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় , শফির লোকজন হামলায় সময় আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ীতে কোন পুরুষ ছিলনা। এ সময় তারা বাড়ি ভাংচুর, ২০রাউন্ড গুলি বর্ষন, বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর, স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট তাতে বাধাঁ দেওয়ায় বাড়িতে থাকা মহিলা শামসুন্নাহার, ইসমত আরা ও ইয়াছমিন আক্তার কে অস্ত্রের বাটের আঘাত ও দা কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে । আহত-৩জন মহিলা কে মহেশখালী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ  ব্যাপারে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে বাড়িতে হামলার আলামত ও গুলি বর্ষনের চিহ্ন পাওয়া গেছে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দেওয়া হবে। মহেশখালী উপজেলা সভাপতি মোহাম্মদ আনছার কোম্পানী জানান, আমরা আওয়ামীলীগ পরিবারের লোকজন ইউপি নির্বাচন চলাকালীন সময়ে বিএনপি’র প্রার্থী এম শফিউল আলম কে ভোট না দেওয়ার জের নির্বাচন পরবর্তী সময় থেকে অদ্যাবধি  নানান কৌশলে আমাদের  হয়রানী করেই আসছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।