মহেশখালীর সোনাদিয়ায় লবণ মাঠ দখল-বেদখলের ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামে এক লবণ চাষিকে গুলি করে ও পরে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এতে আরও ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলায় কুতুবজোমের সোনাদিয়ায় পশ্চিম পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম (৩৩) বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির ডেইল এলাকার মৃত গোলাম কুদ্দুসের পুত্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কুতুবজোমের সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়ায় লবণ মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীর ও আনোয়ার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সকালে জাহাঙ্গীর লবণ মাঠে কাজ করতে স্থানীয় ফরিদের মাধ্যমে সাইফুলকে ডেকে সোনাদিয়া নিয়ে যায়। পরে জাহাঙ্গীরের গ্রুপ লবণের মাঠ দখল করতে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আনোয়ার গ্রুপ।

এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে সন্ত্রাসীরা এসে কুপিয়ে হাত-পায়ের রগ কেটে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামীকে লবণ মাঠ করতে সকালে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শুনি আমার স্বামীকে কে বা কারা গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার চাই।

নুর মোহাম্মদ বলেন, সোনাদিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আমার নিরীহ ভাইকে গুলি করে পরে কুপিয়ে ও হাত-পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, সোনাদিয়ায় লবণ মাঠ দখল নিয়ে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছে এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে সোনাদিয়ায় অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।