বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধে যানবাহনে আগুন দেওয়া ‘ঠেকাতে’ জেনারেটর চালাতে পাম্প থেকে খোলা জ্বালানি তেল কিনতে হলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র নিতে হবে। পাশাপাশি পাম্পের রেজিস্টারেও ক্রেতার নাম লিখে রাখতে হবে। শনিবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এই নির্দেশনা দিয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, লুজ কিংবা খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। তবে বাসা বাড়ি, কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল কেনা যাবে। সেক্ষত্রে সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে তা বিক্রি করা যাবে। পাশাপাশি পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রাখা রেজিস্টারে তা লিপিবদ্ধ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনারের ওই নির্দেশনায় পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করতেও বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জোনের সহকারী কমিশনার এবং থানার ওসিদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করে কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপকমিশনার ও থানার ওসিদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেছেন, নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার পাশাপাশি ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন করতে হবে। পাম্প ও স্টেশন এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, পরিদর্শক (তদন্ত/অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে এসব সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাইও করতে হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানিয়েছেন, রিজার্ভারে জ্বালানি তেল লোডের সময় পাম্প মালিকদের নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, অবরোধ ও হরতালের নামে একটি বিশেষ মহল গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নিরীহ নাগরিকদের হতাহত করাসহ নাশকতা, সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে। চলমান নাশকতার সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে কেউ যেন পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রল পাম্প থেকে পেট্রল বা জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে জন্য এমন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।