বার্তা পরিবেশক:

কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এহেছান উল্লাহ ও  রনিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে এবার চাঁদাবাজী ও ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

১৬ অক্টোবর সোমবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ভূক্তভোগী নচতারিন জমিলা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে নিজ মালিকানার রেজিষ্ট্র বিএস ৮১১৪ নং খতিয়ানি জমিতে দোকান নির্মাণে সময় ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে ৪ লক্ষ টাকার মালামাল ক্ষতিসাধাণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় কাউন্সিলর এহেছান ও রনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি ৪ জন হলেন, মৃত শামসুল আলমের পুত্র মোঃ ইউনুছ ও তার ভাই মোঃ ইউছুপ। ইউনুছের ছেলে আবদুল্লাহ ও তৌফিকসহ ৬/৭ অজ্ঞাতনামা ভাড়াটিয়া আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, খুরুশকুল রাস্তার মাথায় একটি জমি নিয়ে ২ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় কে কাউন্সিলর তা তো উল্লেখ ছিলো না। তবে ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্ত শেষে বের হয়ে আসবে। তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা নম্বর জিআর ৫৮১/২৩।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গত ১৩ অক্টোবর বুধবার রাত ১১টার দিকে শহরের তারাবনিয়ার ছড়াস্থ খুরুশকুল রাস্তার মাথা মোড়ে বাদীর ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, মোজাম্মেল ও আরহিন বাবু মাছ-পণ্য বিক্রি করতে শুরু করেন। ওই সময়ে নবাগত পৌর কাউন্সিলর এহেছান উল্লাহ ও ইমতিয়াজুল হক রনি, ইয়াবা ব্যবসায়ী ইউনুছ ও তার ভাই মোঃ ইউছুপ, আবদুল্লাহ ও তৌফিকসহ ৬/৭ জন অস্ত্রশস্ত্রে এসে এলোপাতাড়ি মাছ বাজারের স্থাপনা ভাংচুর করে ৪ লাখ টাকার ক্ষতি করেন ও তাদের দাবীকৃত ১০ লাখ টাকা চাঁদা ১ সপ্তাহে মধ্যে না দিলে জমি দখলের হুমকি দেন তারা।
একই সাথে উক্ত জমি নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবীর অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট আদালত সিআর- ১১৯৮/২৩ইং মামলা দায়ের বলে এজাহারে উল্লেখ্য করেন।

এছাড়াও সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, সদর কক্সবাজার। অপর মামলা নং-২৮/২০২৩ইং অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা হয়। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ইং তারিখে ৬ নং আদেশে উক্ত আসামীদের সংগটিত জমিতে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। তার পরও অভিযুক্ত ভূমিদস্যু একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে এই চাঁদাবাজীর ঘটনায় গত ১৪ অক্টোবর কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এই জমির ভাড়াটিয়া মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা উক্ত জমির ৭/৮ জনের বায়া দলিলের রেফারেন্স দিয়ে প্রমাণ করেন তাদের খতিয়ানভূক্ত মালিক নচতারিন জমিলা।
মিজানুর রহমান বলেন, আমি উক্ত জমির ভাড়াটিয়া। আসামীরা আমাদের দোকান ভাংচুর ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের এই ভাংচুর থেকে রক্ষা পেতে চাই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাউন্সিলর এহেছান উল্লাহ বলেন, কেন মামলা হয়েছে জানি না। তবে আমি রনির পক্ষে থানায় এজাহার জমাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ায় আসামী করেছে হয়তো।