শেফাইল উদ্দিন

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার কৃষক ছৈয়দ আকবর বৃক্ষ রোপণ করে ভাগ্য বদলানোর স্বপ্ন দেখছেন।উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে প্রায় ৪ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বনজ গাছ রোপণ করেছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ইউছুপেরখীল গ্রামের মৃত ছৈয়দ আলীর পুত্র বৃক্ষপ্রেমী ছৈয়দ আকবর বর্তমানে পার্শ্ববর্তী হরিপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা।

সবুজের সমারোহ আর বনায়ন তাকে আকৃষ্ট করে। পরিবেশের সুরক্ষা ও স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি।

সে স্বপ্ন কে সফল করতে হরিপুর গ্রামে জমি ক্রয় করে ১৯৮২সালে প্রায় ৪ একর ভূমির উপর বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ গাছে রোপণ করে গাছ বাগান শুরু করেন।

পরবর্তীতে একই স্থানে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আরো ব্যাপকভাবে বনায়ন করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সাথে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচিতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। বহু প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে বনায়নের গাছপালা রক্ষা করে চলেছেন।
বর্তমানে তার বাগানের বহু গাছ কর্তন উপযোগী হয়েছে। এ বাগানে প্রায় অর্ধকোটি টাকার গাছ রয়েছে। চোরের হাত থেকে বাগানের গাছগুলো রক্ষা করে বিক্রি করতে পারলে বৃক্ষ প্রেমিক ছৈয়দ আকবর আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সরকারও প্রচুর রাজস্ব পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে বনভূমি উজাড়ের কারণে এলাকায় এ ধরনের বনায়ন না থাকায় পরিবেশ প্রেমীরা মাঝে মধ্যে তার বাগান দেখতে আসেন। বৃক্ষ ও বনায়নের প্রতি তার এমন ভালোবাসার কারণে এলাকায় তিনি বৃক্ষ প্রেমিক হিসেবে পরিচিতি। বর্তমানে তার বাগানে ছোট বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০ হাজার ফলজ ও বনজ গাছ রয়েছে। তার গাছ বাগান দেখে অনেকে বৃক্ষ রোপনে এগিয়ে আসছেন। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের পরিকল্পিত বাগান গড়ার স্বপ্ন দেখছেন ।চলমান বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে তার এ ধরনের গাছ বাগান পরিবেশ সুরক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেছেন স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা। বৃক্ষপ্রেমী ও স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে বনায়ন কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করে পরিবেশ সুরক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে দেশকে উন্নত করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকার সুশীল সমাজ ও পরিবেশ প্রেমীরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের সামাজিক বনায়ন আরো বৃদ্ধির মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক উন্নতি, পরিবেশের সুরক্ষা ও সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বাগানের নিরাপত্তা প্রদান ও সার্বিক সহযোগিতা করার জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

ছৈয়দ আকবরের সাথে কথা হলে জানান,সমাজের সবাই যদি বৃক্ষ রোপণ ও সামাজিক বনায়নে এগিয়ে আসলে, দেশের প্রকৃতি, ও পরিবেশ রক্ষা হবে এবং স্বাবলম্বী হওয়া যাবে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।