ইমাম খাইর, সিবিএনঃ
৬ জানুয়ারি শুক্রবার। শীতের শিশির ভেজা সকাল। সূর্যের দেখা মেলেনি তখনও। পুব আকাশে কুয়াশাচ্ছন্ন লালিমা। শরীরে জেঁকে বসেছে শীত। এসবের মাঝেও সাগরের বিস্তীর্ণ বালুকায় হাজির স্বাস্থ্য সচেতন একদল যুবক-যুবতী। সবার মুখে উচ্চারণ -“সুস্থ দেহ প্রশান্ত মন, কর্মব্যস্ত সুখী জীবন।”

মূলত, ৬ জানুয়ারি ‘টোটাল ফিটনেস ডে’ হিসাবে পালন করছে দেশের প্রসিদ্ধ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।

শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক সব দিক থেকে ফিটনেস অর্জনের আহ্বানে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হলো।

৬ জানুয়ারি সকাল ৭টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা বীচে ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল যোগ ব্যায়াম, বডি ব্যালান্স টেস্ট (শারীরিক ভারসাম্য পরীক্ষা), সচেতনতামূলক বুলেটিন-ব্রোশিউর বিতরণসহ আলোচনা, প্রাণায়াম ও মেডিটেশন।

এরপর সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে সচেতনামূলক পদযাত্রা শুরু করে শহরের লালদীঘি পাড়ে পৌঁছে শেষ হয়। এতে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য টোটাল ফিটনেস নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। একজন মানুষের ভালো থাকা মানে সবদিক থেকেই ভালো থাকা। সবদিক বলতে শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আত্মিক এই চারটি দিকেই ভালো থাকা বোঝায়। সবদিক থেকে ফিট থাকলেই সার্বিকভাবে ভালো থাকা সম্ভব। তাই দরকার টোটাল ফিটনেস।

এ বিষয়ে ইমিউনোলজিস্ট প্রফেসর ক্যারোলা ভিনেস ও জেমস লি দীর্ঘ গবেষণার পর বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু রোগের উৎপত্তি হচ্ছে, আগের কোনো সময়ে যার কোনো দেখা মেলেনি। এ জন্যে তাঁরা খাদ্যাভ্যাস বিশেষ করে ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবারের প্রতি বিশ্বজুড়ে সবার ব্যাপক আগ্রহকে দায়ী করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘টিন, প্যাকেট ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক খাবারে অভ্যস্ত হলে সহজে শারীরিক ফিটনেস অর্জিত হয়। রাতে বেশি না খেয়ে সকালে বেশি খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা, দৌঁড়ানো, যোগব্যায়াম ও রাতে নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন তারা।’

দালাই লামার উক্তি, ‘যদি তুমি অন্যকে সুখী দেখতে চাও তাহলে সমমর্মী হও। নিজেকে সুখী দেখতে চাইলেও তুমি সমমর্মী হও’।

দালাই লামার এ উক্তিকে মানসিক সুস্থতার মূলমন্ত্র মনে করেন আয়োজকরা।