বার্তা পরিবেশক:
রামুর গর্জনিয়া বাজার থেকে ক্রয় করে আনার পথে নাইক্ষ্যংছড়ি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ান কর্তৃক জব্দ করা ৩৯টি গরু ও মহিষ ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, গরু ও মহিষ গুলো তারা মিয়ানমার থেকে পাচার করে আনেনি। এগুলো গর্জনিয়া বাজার থেকে টোল-টেক্স দিয়ে বৈধভাবে ক্রয় করেছেন এবং ক্রেতারাও সবাই প্রকৃত ও বৈধ গরু ব্যবসায়ী। তারা কোনোভাবে চোরাই পথে গরু আমদানিতে জড়িত নেই। তাই সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে গরু ও মহিষ গুলো ফেরত দিতে বিজিবি অধিনায়কের প্রতি আকুল আহŸান জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার খামার পাড়ার গরু ব্যবসায়ী জামে আলম গর্জনিয়া গরুর বাজারে বিক্রি করতে আনা কচ্ছপিয়ার মৌলভীকাটার আবছার কামাল ও আলী আজম থেকে চারটি গরু ক্রয় করেন। একইভাবে ঝিংলজার মুন্সিরবিল এলাকার রেহান উদ্দীন রায়হান কচ্ছপিয়া হাজিপাড়ার হামিদুল ইসলামের কাছ থেকে ১০টি, ঝিলংজার মুন্সিরবিল এলাকার মামুনুর রশিদ কচ্ছপিয়ার হাজিপাড়ার আবু ঈসা থেকে চারটি, শফি আলম থেকে দুইটি, জসিম উদ্দীন থেকে একটি গরু ক্রয় করেন। সাতকানিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মোঃ জসিম উদ্দীন নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি এলাকার আবুল হোসাইন থেকে দুইটি, মোঃ জুবাইর থেকে চারটি, ঝিলংজার খামার পাড়ার হেলাল কচ্ছপিয়া বালুবাসার মনির আহামদ থেকে দুটি এবং উখিয়ার রাজাপালং এলাকার শাহাজাহান মহিষ বৈধভাবে বাজার থেকে ক্রয় করেন। কিন্তু এসব গরু ও মহিষ ক্রয় করে আনার পথে চেকপোস্টের বিজিবি সদস্যরা জব্দ করে। এসময় বৈধ কাগজপত্র দেখালেও তা আমলে নেয়নি। বর্তমানে গরু ও মহিষগুলো বিজিবি হেফাজতে রয়েছে।
ভুক্তভোগীরা ক্রেতারা জানিয়েছেন, তারা গরু ও মহিষগুলো কিনেছেন তা মিয়ানমারের চোরাইপথে আসা নয়। এগুলো বাংলাদেশী বিভিন্ন খামারে গৃহপালিত গরু-মহিষ হিসেবে চিহ্নিত করে ক্রয় করেছেন। কেনার সময় মিয়ানমারের কোনো ধরণের সাইন এসব গরু-মহিষের গায়ে খচিত ছিলো না।

ভুক্তভোগীরা জানান, তারা ছোটমাপের গরু ব্যবসায়ী। অল্প পুঁজিতে বৈধভাবে গরু বেচাকেনা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। কিন্তু সমস্ত পুঁজিতে ক্রয় করা গুরু-মহিষগুলো বিজিবি জব্দ করায় তারা এখন পথের ভিখারি হয়ে গেছেন।
এদিকে গরু ও মহিষগুলো ফেরতে পেতে আইনী প্রক্রিয়াও শুরু করেছে ভুক্তভোগী গরু ব্যবসায়ীরা। তারা ইতিমধ্যে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তারা বৈধতার ভিত্তিতে আইনীভাবে গরু ও মহিষগুলো ফেরত পাওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন। ভুক্তভোগীরা সঠিক তথ্য যাচাই করে জব্দ করা গরুগুলো ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিবির কড়াকড়ি থাকায় কচ্ছপিয়া সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু প্রবেশ করতে পারছে না। তবে পাহাড়া না থাকায় ঈদগড় সীমান্ত দিয়ে ঈদগাঁওতে, রাজারকুল সীমান্ত দিয়ে রামু ও খরুলিয়াবাজার ও সোনাইছড়ি সীমান্ত দিয়ে মরিচ্যা বাজারে মিয়ানমারের চোরাই বিক্রি হচ্ছে।