এম.এ আজিজ রাসেল:
কক্সবাজার জেলার রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী। এটি বহু জ্ঞানী—গুণী ও বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মৃতি বিজড়িত। শহীদ দৌলত ময়দান ঘিরেই কক্সবাজারের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ঐতিহ্য আন্দোলন সংগ্রামের শুরু। এছাড়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই পাবলিক লাইব্রেরী।

নানা জটিলতা কাটিয়ে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় ১৪ বছর পর কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরিসহ শহীদ সুভাষ হল ও শহীদ দৌলত ময়দান ঘিরে আবারও চাঙা হয়ে উঠেছে জেলার রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফিতা কেটে ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। এসময় তিনি বলেন, নতুন করে গতি পেল প্রাচীন এই প্রতিষ্ঠান। এটি এই জেলার চালিকা শক্তি। ২০৪১ সালে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কক্সবাজার নেতৃত্ব দেবে। সে ক্ষেত্রে এই পাবলিক লাইব্রেরী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

দীর্ঘদিন পর কক্সবাজারের রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠান। এতে বেশ খুশী রাজনীতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার জেলার শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া সবকিছুর সুতিকাগার ছিল এই প্রতিষ্ঠান। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ১৪ বছর এটির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যার ফলে কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক জাগরণ বন্ধ ছিল। নতুনভাবে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী যাত্রা করায় আমরা নতুনভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজে পেয়েছি।

কক্সবাজার থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট তাপস রক্ষিত বলেন, কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী পুন:নির্মাণে প্রায় ১০ কোটি খরচ হয়েছে। উদ্বোধনের পর আমরা আলোর পথ খুঁজে পেয়েছি। এতে কেটেছে কক্সবাজারের সংস্কৃতির অঙ্গনের স্থবিরতা। আশা করছি আবারও সবার পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে এই প্রিয় অঙ্গন।

জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক এম জসিম উদ্দিন বলেন, কক্সবাজারের রাজনীতিক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, লেখক, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিচিতি এবং বেড়ে উঠা এখান থেকে। তাই পাবলিক লাইব্রেরী চালু হওয়ায় নতুন করে এগিয়ে যাবে ঐতিহ্যের কক্সবাজার। এমনটাই প্রত্যাশা সবার।