এম.এ আজিজ রাসেল:

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেছেন, পর্যটন ঘিরে মাস্টারপ্ল্যান হচ্ছে। তারমধ্যে কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা থাকবে। জীববৈচিত্র্যের অন্যতম কেন্দ্র সেন্টমার্টিন। দেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ। এটি বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখানে অপরিকল্পিতভাবে বিপুল স্থাপনা গড়ে উঠেছে। সেই সাথে অসংখ্য পর্যটক যাচ্ছে। এতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। যার চাপ সেন্টমার্টিন আর নিতে পারছে না। তাই সেন্টমার্টিন রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে কাজ করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। আর পর্যটকরা দায়িত্বশীল না হয়, পর্যটন এগিয়ে যাবে না।

শুক্রবার সন্ধ্যায় লাবণী পয়েন্টে বিচ কার্নিভাল মঞ্চে সেন্টমার্টিনে ইকো ট্যুরিজম: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা বিষয়ক প্যানেল ডিসকাশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়।

পর্যটন সচিব আরও বলেন, পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে নান্দনিকভাবে সাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা রয়েছে। আবার কারো ক্ষতি করে তিনি উন্নয়ন করবেন না। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। নিশ্চিত থাকতে পারেন তিনি কারো ক্ষতি করে উন্নয়ন করবেন না। সবকিছু ইতিবাচক হলে তিনি উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিবেন।’

সচিব বলেন, ‘পর্যটন খাতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে এই রকম পর্যটন মেলা প্রতিবছর করার জন্য চিন্তা ভাবনা আছে। এমনকি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ ধরণের মেলা বছরে দুইবারও করতে পারবো আমরা। পর্যটনের জন্য কক্সবাজার অন্যতম একটি স্থান এটিকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

ছোট খাটো ঘটে যাওয়া ঘটনাকে তিলকে তাল না করে পর্যটন এলাকাকে প্রমোট করলে দেশিবিদেশী পর্যটকে ভরপুর হবে কক্সবাজার এমনটিও জানান বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিক মোকাম্মেল হোসেন।

এসময় তিনি পর্যটনের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে স্টক হোল্ডার এবং অংশীজনদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্যানেল ডিসকাশনে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুরেশ কুমার সরকার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল ও কক্সবাজার চেম্বারের প্রেসিডেন্ট আবু মোর্শেদ চৌধুরী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো. আমিন আল পারভেজ।

পরে কার্নিভাল মঞ্চে নাটক পরিবেশন করেন শিল্পকলা একাডেমী। এরপর মঞ্চ মাতান দেশের খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী পথিক হাসান।

এদিকে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভালের ৪র্থ দিনে পর্যটক এবং স্থানীয়দের ঢল নামে। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ার জ্যামিতিক হারে মানুষ বাড়ছে। সৈকতে এসে ঘুরাঘুরি পাশাপাশি পর্যটন মেলার ২০০টি স্টলে পসরা সাজানো নানা পণ্য লুপে নিচ্ছে।