শাহেদুল ইসলাম মনির , কুতুবদিয়া:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পূর্ণিমার জো’তে অস্বাভাবিক পানির চাপ বৃদ্ধির কারণে কাঁচা বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এতে চার ইউনিয়নে ১০ থেকে ১৫টি গ্রাম তলিয়ে যেতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ধূরুং এর মিয়ারাকাটা, চর ধূরুং, দক্ষিণ ধূরুং এর বাতিঘর এলাকা, কৈয়ারবিলের বিন্দা পাড়া ও আলী আকবর ডেইলের বায়ু বিদ্যুৎ এলাকা। এদিকে, সাগরে চলে গেছে বাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ।

অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র দেয়া তথ্য মতে কুতুবদিয়ার ১৪ টি পয়েন্টে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,ঈগল রীচ কন্সট্রাকশন লি: মাটি না দিয়ে
৭০ ভাগ বালি দিয়ে কাজ করাতে এ ধরনের
ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। গত অর্থবছরে বেড়িবাঁধের পেছনে খরচ করা ১৮ কোটি টাকা। এর সবটাই ব্যর্থ এবং ৫০ শতাংশ কাজ হয়নি বলে দাবী করছেন স্থানীয়রা। এ চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন যদি রক্ষা করা না হয়। তাহলে যেকোনো সময় বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে ১০ থেকে ১৫টি গ্রাম।

কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর ঈগল রীচ কন্সট্রাকশন লি: ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন,মাটি না দিয়ে ৭০ ভাগ বালি দিয়ে কাজ করাতে এ ধরনের ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এতে অল্প সময়ে জোয়ারের আঘাতে ভেঙে গেছে বাঁধ। এছাড়া বাঁধের নিচ থেকে বালি নেওয়ার কারণে এ ধরনের ভাঙ্গন বলেও দাবী করেন তিনি। এই বিষয়টি বার বার কতৃপক্ষে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন পদক্ষেপ নেন নি। ফলে, এখন হুমকির মুখে পড়েছে ঘর-বাড়ি, ফসল, সবজি চাষসহ হাজারো পরিবার।

এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারি প্রকৌশলী এলটন চাকমা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের ছবিসহ রিপোর্ট নেয়া হয়েছে এবং আশা করি দ্রুত সময়ে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।