নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের আওতাধীন উখিয়ার ঘাট বন বিটের বটতলী ব্লকের পালংখালীর তেলখোলা এলাকায় বালুখেকোদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনের বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি,দুটি ড্রেজার মিশন জব্দ ও ২টি অবৈধ ঘর উচ্ছেদ সহ ২৮ টি বালুর পয়েন্ট লবণ মিশিয়ে ও লাল পতাকা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ডিসেম্বর)বিকাল ২ টার দিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মোঃ আনিসুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ সফিউল আলম এর নেতৃত্বে ও থাইংখালী বিট কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান সহ সংশ্লিষ্ট বিটের বন কর্মকর্তা ও সিপিজি সদস্যদের নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্রে জানা যায়,উখিয়ার পালংখালীর থাইংখালী মোজা উখিয়া’র ঘাট ফরেস্ট থাইংখালী বনবিটের বটতলী ব্লকের বিভিন্ন স্থানে শতশত পাহাড়ে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মিশন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে পাহাড় নিধন করে আসছিল একটি পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট,এদের নেতৃত্বে উক্ত সিন্ডিকেট পরিচালিত হয়,তারা হলেন,মৃত সৈয়দুর রহমানের ৩ ছেলে দানুমিয়া প্রকাশ দানু ডাকাত (৫৭)ফরিদ আলম(৪০)ও মমতাজ মিয়া,মৃত লাল মোহাম্মদ এর ছেলে ডাকাত আব্দুর রহমান(৫৮)মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৮)মৃত উলামিয়ার ছেলে শামসুল আলম (৩৮)মৃত তৌরাফ আলীর ছেলে এজাহার মিয়া (৪৭) সাব্বির আহমেদ এর ছেলে বশর (প্রকাশ সুপারি বশর) (৩২)মৃত লাল মোহাম্মদ এর ছেলে নুরুল আলম (৪৮),মৃত আব্দুল মতলব এর ছেলে আকতার কামাল পুইত্যা (২৯)।
এই সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বন বিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সরকারি বনভূমির পাহাড়ের নিচে ড্রেজার মিশন বসিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এই পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে কেউ বাঁধা বা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর চলে আসে চরম অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন। তাই উক্ত বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের এই সফল অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মোঃ শফিউল আলম জানান,দীর্ঘদিন ধরে একটি পাহাড় খেকো সিন্ডিকেট পাহাড়ের নিচে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বনবিটের তেলখোলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তলনের কাজে ব্যবহ্নত দুটি ড্রেজার মিশন, বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদি ও ২টি অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ সহ ২৮টি বালুর পয়েন্ট লবণ মিশিয়ে লাল পতাকা (প্ল্যাগ)দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।