কামাল শিশির, রামু:

হাতি ও মানুষ দ্বন্দ্বের ফলে প্রতিনিয়ত অনেক নিরীহ হাতি হত্যার শিকার হচ্ছে। আর মানুষ হচ্ছে ক্ষয়ক্ষতির শিকার। কখনো কখনো মানুষও নিহত হচ্চে হাতির আক্রমনে।

বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী হাতি হত্যা করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। হাতি হত্যা করলে আইন অনুযায়ী জেল, জরিমানা অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, হাতি দ্বারা কোন প্রকার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে তা পূরণের জন্য “বন্যপ্রাণি দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জানমালের ক্ষতি পূরণ নীতিমালা ২০২১” অনুযায়ী সরকার এর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই হাতিকে হত্যা না করে, হাতি সংরক্ষণে বাংলাদেশ বন বিভাগকে সহায়তা করতে হবে। পাশাপাশি স্থানীয় এলিফ্যান্ট রেস্পন্স টিমকে।

২৩ নভেম্বর সকাল ১০ টায় ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্থানীয় মানুষদের সচেতন করার লক্ষ্যে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের উদ্যোগে ঈদগড় রেঞ্জ কতৃক আয়োজিত জনসচেতনতা মূলক কর্মশালায় বক্তারা উপরোক্ত কথা গুলো বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ঈদগড় রেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। অতিথি ছিলেন তুলাতলী বিট কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম ফকির, বাইশারী বিট কর্মকর্তা মোঃ মোরশেদ কবির, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) এর সুফল প্রকল্পের ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর মুফিদুল আলম, সাংবাদিক জাফর আলম জুয়েল, সাংবাদিক আবদুল হামিদ।

বক্তব্য রাখেন, ঈদগড়ের সাবেক ও নব নির্বাচিত সকল এম ইউ পি সদস্যবৃন্দ এবং বিট অফিসের ফরেস্ট গার্ড বৃন্দ।
এসময় ভিলেজার সহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় হাতি সংরক্ষণ, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসন, হাতি দ্বারা আক্রান্তদের ক্ষতিপূরন, বন্যপ্রাণি (সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তারা ব্যাপক আলোচনা করেন।

সভাটি কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নির্দেশনায় আয়োজন করা হয়েছে।