এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কারাগার পরিদর্শনে গেছেন। তিনি করোনাকালীন লটারীর ভিত্তিতে জেলে বন্দী থাকা কিছু কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে তাঁর জন্য গুণতে হবে ৮৫ হাজার টাকা। প্রতারক চক্রের এমন ফাঁদে পড়লেন এক কয়েদির পরিবার। বিকাশে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে ওই চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বার এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওই কয়েদীর পরিবার থেকে এমন অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক চক্র।

প্রতারণার শিকার নিলুফা সুলাতানা চকরিয়ার লক্ষ্যারচরের বাসিন্দা। বর্তমানে স্বামী সোলতান মোঃ বাবুলসহ পরিবার নিয়ে কলাতলী সী—প্যালেসের বিপরীতে বে—ভিউ সড়কে থাকেন।

নিলুফা সুলতানা বলেন, তাঁর ছোট ভাই মোঃ পারভেজ স্থানীয় একটি মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস ধরে কক্সবাজার জেলা কারাগারে কারাভোগ করছেন। গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে হঠাৎ ০১৩২৩—৯৩৫৬৬৪ নাম্বার থেকে তাঁর মায়ের ব্যবহৃত ০১৮২৩—৩৫১৫৭৯ নাম্বারে কল দিয়ে জানায়, লটারীর মাধ্যমে কিছু কয়েদীকে জেলা প্রশাসক মুক্ত করে দিবেন। তবে এ জন্য দিতে হবে ৮৫ হাজার টাকা। টাকা দিলেই ওইদিন সন্ধ্যায় নিলুফার ছোট ভাই পারভেজকে সাথে সাথে জেলা কারাগার থেকে বের করে দিবেন।

চক্রটি একাধিক পদস্থ ব্যক্তির নাম ও কণ্ঠ ব্যবহার করে এমন আশ্বাস দিলে সরল বিশ্বাসে ০১৭৪৮১৫৭৮৮০ বিকাশ এজেন্ট থেকে প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত ০১৩২৩—৯৩৫৬৬৪ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা এবং ০১৮৮৯—৬৮০৩২১ নাম্বারে ৩৫ হাজার টাকা ও ০১৭৯৫—০৭৬৮৯৬ নাম্বারে ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৮৫ হাজার দেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারগুলোতে কল দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়।

বিষয়টি স্থানীয় ও আত্মীয়—স্বজনদের সাথে আলোচনা করার পর তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে অনুধাবন করেন। এতে নিরুপায় হয়ে নিলুফা বেগম কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিলুফা সুলতানা বাদী হয়ে প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ০১৩২৩—৯৩৫৬৬৪, ০১৮৮৯—৬৮০৩২১ ও ০১৭৯৫—০৭৬৮৯৬ নাম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এএসআই শাহনুর আলম বলেন, অভিযোগটি তাঁর কাছে এসেছে। মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনা হবে।