জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ, সারসহ বিভিন্ন খাতে বছরে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশ্ন রাখেন, সরকার আর কত টাকা ভর্তুকি দিতে পারবে?

তেলের দাম কমানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজেল বিদেশ থেকে কিনতে হয়। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় দেশেও দাম বাড়ানো হয়েছে। জ্বালানি তেলে ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়, আর কত টাকা ভর্তুকি দেব? বাজেটের সব টাকা কি ভর্তুকিতে দিব, তাতে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

জনগণের প্রতি দায়িত্বের বিষয়ে সরকার সবসময় সচেতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনাকালে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। একবার নয়, বার বার সহায়তা দেয়া হয়। সরকারের উপায় কী, উপার্জন কী, কী সম্পদ আছে?

উন্নত দেশে খাদ্যের জন্য হাহাকার চলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনের মতো জায়গাতেও সুপারমারকেট খালি। কিন্তু বাংলাদেশে খাদ্যের অভাব হয়নি। মানুষ যেন কষ্ট না পায়, খাবারের কষ্ট না হয়, সেদিকে নজর আছে সরকারের।

ট্যাক্স ফাঁকি দেয়ার দিকে সবার নজর মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাহলে টাকা আসবে কোত্থেকে? দেউলিয়া হয়ে যেতে হবে? গ্যাসের সঙ্কট মেটাতে এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, তাতেও বড় ধরনের ভর্তুকি দিতে হয়।

সদ্য সমাপ্ত গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে সফর নিয়ে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি, যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।