আবুল কালাম, চট্টগ্রাম:

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য লাগামহীনভাবে বাড়ছে তেল, চিনি, ডাল, মাংস, সবজিসহ ভোগ্যপণ্যের দাম। দীর্ঘ দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে লাগামহীন পণ্যের বাজারে জ্বরে ভোগছে ভোক্তারা। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

ভোক্তারা জানান, গতবছর প্রতিলিটার বোতলজাত তেল ১শ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এবছর তা বেড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫শ টাকার পাঁচ লিটার বোতলজাত তেলের দাম ঠেকেছে সাড়ে ৭শ টাকায়। ১২০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ও ৩৫ টাকার পেঁয়াজ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া চাল, চিনি, সবজি, মশলা কোন কিছুতেই স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির পর দিন শনিবার ( ৬ নভেম্বর ) নগরের রিয়াজউদ্দীন বাজার ও কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজি শিম কেজিতে ১শ ও মুলা ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া ঢেড়শ ৭০, বরবটি ৮০, লাউ ৫০, করলা ৮০, পটল ৫০, মিষ্টি কুমড়া ৪০, বেগুন ৭০ ও গাজর ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রিয়াজউদ্দীন বাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল উদ্দীন প্রতিবেদককে বলেন, শীতের সবজির সয়লাব বাড়লে দাম কমে যাবে। তবে আজকে পরিবহণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনও বন্ধ থাকায় সবজিও কম এসেছে বাজারে। সবজির দাম বেশি হওয়ায় আমাদের বিক্রিও কমে গেছে। এক কেজির জায়গায় অনেকে আধা কেজি করে সবজি কিনছেন।

এদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, সোনালী ৩শ আর লেয়ার ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাছাড়া আগের দামেই প্রতিকেজি আদা মানভেদে ৬০ থেকে ১৩০, রসুন ৯০ থেকে ১২০ ও হলুদ ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মসুর ডাল (মোটা দানা) ৯০ টাকা ও ছোট দানা ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি সুবাস চৌধুরী বলেন বলেন, দেশে কি চলছে কিছুই বুঝতে পারছি না। দফায় দফায় পণ্যের দাম বাড়ছে। নিম্নবিত্ত মানুষের স্বস্তির জায়গা টিসিবিতেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। লাভের জন্যই ব্যবসা, কিন্তু নাগালের বাইরে পণ্যের দাম নিয়ে এভাবে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেয়ার কোন মানেই হয় না। তাই সরকারের উচিত এদিকে বিশেষ নজর দেয়া।