সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : ২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু রোহিঙ্গারাও উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করবে। প্রতিবারের মতো নতুন কাপড়ে কোনো ধরনের পূজার আনন্দের কমতি নেই তাদের।কারণ দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদের কল্যানে দরিদ্র হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারগুলো উপহার পেয়েছে নতুন বস্ত্র।

৯ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পশ্চিম পাড়া মন্দির মাঠ প্রাঙ্গনে হিন্দু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অসহায় দারিদ্র মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়ের নেতৃত্বে কক্সবাজার জেলা ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক প্রিয়তোষ শর্মা চন্দন,যুগ্ম সম্পাদক চঞ্চল দাশগুপ্ত,জেলা ঐক্য পরিষদের নেতা স্বপন শর্মা রণি ও উখিয়া ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুমন শর্মা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক গরিব হিন্দু রোহিঙ্গাদের মাঝে নতুন কাপড় তুলে দেন। এসময় উপহারের নতুন কাপড় পেয়ে হতদরিদ্র বিভিন্ন বয়সী হিন্দু পরিবারগুলো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। দুর্গাপূজার আগে নতুন কাপড় পেয়ে গরিব হিন্দু রোহিঙ্গাদের মধ্যে যেন আনন্দের উপলক্ষে এনে দেয়।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্রগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড় বলেন, ‘সীমিত ক্ষমতার মধ্যে হিন্দু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের অসহায় দারিদ্র মানুষের মাঝে নতুন কাপড় দিতে পেরে আমরা খুশি। গত তিন বছর ধরে ঐক্য পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে নতুন শাড়ি কাপড়,লুঙ্গি,শার্ট,পেন্ট,থ্রী পিচ উপহার দিয়ে ১১৭ গরিব হিন্দু রোহিঙ্গা পরিবারের মুখে হাসি ফুটানোর চেস্টা করে যাচ্ছি।

কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি মন্টু শীল জানান,করোনার কারণে আমাদের আয় নেই বললেই চলে।কোন এনজিও আমাদের সাহায্য করেনা। একারণে দুর্গাপূজায় ক্যাম্পের অনেকেই নতুন কাপড় কিনতে পারেনি। তাই সবার মনটা খারাপ ছিল। ন্তিু হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদের সহায়তায় এবারও সবাই নতুন কাপড় পেয়েছে।একারণে ক্যাম্পের সবাই খুব খুশি।

জানা গেছে,২০১৭ সালে ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর থেকে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খিস্টান ঐক্য পরিষদ দুর্গা পূজাসহ বিভিন্ন পূজাপার্বনে হিন্দু রোহিঙ্গাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে