পেকুয়া সংবাদ:

পেকুয়ায় জনপ্রিয়তা বেড়েছে মহিউদ্দিন বাবর মুকুলের। তরুণ রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতির আগ্রহকে ঘিরে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের জনগনের মাঝে বেশ প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। চেয়ারম্যান পদে তাকে নিয়ে আগ্রহী উপজেলার সর্ববৃৃহৎ জনগোষ্টীর বসবাসরত সদর ইউনিয়নের জনগন। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পেকুয়ায় আগাম নির্বাচনী কর্মচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। যদিওবা দ্বিতীয় ধাপের অনুষ্টিত ইউপি নির্বাচন পেকুয়ায় উপজেলায় হচ্ছেনা। তবে তৃতীয় ধাপের ঘোষিত তপশীলে পেকুয়ায় হতে পারে ইউপি নির্বাচন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা আগাম শুরু হয়েছে। পেকুয়ার জনগন নির্বাচন মুখী। তারা যে কোন নির্বাচনকে উৎসবমুখর পরিবেশে আলীঙ্গন করেন এর অতীত রেকর্ড সে রকম। পেকুয়া সদর ইউনিয়ন উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ জনপদ। গ্রামীণ পরিসেবায় হাজার হাজার মানুষ সরকারের স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্টান ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সেবা নেন। পেকুয়ায় সদর ইউপিতে কে হচ্ছেন সদর পিতা এ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। ভবিষ্যৎ কান্ডারী কে। কাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান বানালে এখানকার উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন কে ঘটাবে এখন এ সব নিয়ে বিচার বিশ্লেষন চলছে। মানুষ কার কাছে নিরাপদ। মানুষ ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ কিভাবে ঘটবে সে নিয়েও চলছে আলোচনা। পেকুয়া সদর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন বাবর মুকুল। তিনি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মিয়াপাড়ার বাসিন্দা। তার পিতা হাজি ছালেহ আহমদ প্রকাশ মধু মাঝি এখানকার মানুষের কাছে বেশ পরিচিতি ও সমাদৃত। মধুমাঝি পেকুয়ার সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। এক সময় ধনিক ও দরিদ্র শ্রেনীর মধ্যে চলছিল চরম বৈষম্য। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ ছিল দরিদ্ররা। শিক্ষা, সংষ্কৃতি মননশীলতা ও রাজনীতিতেও অবজ্ঞা করা হতো গরীব শ্রেনীকে। ভূ-স্বামীদের অত্যাচারে প্রজারা ছিল নিগৃহীত। সেই সময় সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশকে নিয়ে ছালেহ আহমদ প্রকাশ মধু মাঝিরা দিয়েছিলেন সংগ্রামের ডাক। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের দিকে দ্বিতীয় বিপ্লব ঘোষনা করেন। কেউ খাবে আর কেউ খাবেনা এ শ্লোগানকে বাস্তবায়ন করছিলেন মধুমাঝিরা। লাঙ্গল যার জমি তার এটিই ছিল সাধারন মানুষের সংগ্রাম। মধুমাঝিসহ এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনেকে দৃপ্ত শপথ নিয়ে দেশ ও জাতির জন্য কাজ করেছেন। মহিউদ্দিন বাবর মুকুলের পিতা ও তার পরিবার সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এ পরিবারের সন্তান পেকুয়া সদর ইউপিতে ভোট করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন। এক সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে কর্মী ছিলেন। পরবর্তীতে স্কুল ও কলেজে ছাত্রলীগের মেধাবীদের কাতারে ছিলেন। চট্টগ্রাম মহানগরেও ছাত্ররাজনীতির অন্যতম পুরোধা ছিলেন। তার এক ভাই বাংলাদেশ আ’লীগ কক্সবাজার জেলার ৩০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন। চট্টগ্রাম আইন কলেজের সাবেক ভিপি এস,এম গিয়াস উদ্দিনের ছোট ভাই মহিউদ্দিন বাবর মুকুল। পরিবারের প্রতিটি সদস্য রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয়। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এ পরিবারের সন্তানরা ভয়কে জয় করেছেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত তারা পেকুয়ার রাজপথ থেকে সাবেক হননি। আগেও ছিলেন বর্তমানেও আছে। মহিউদ্দিন বাবর মুকুল একজন রাজনীতিবিদের পাশাপাশি সফল ব্যবসায়ী। দেশের অবকাঠামো নির্মাণখাতে তার প্রতিষ্টানের ভূয়সী প্রশংসনীয় অবদান রয়েছে। সড়ক নির্মাণ, বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণে তার প্রতিষ্টান থেকে সরকারকে দেয়া হয় লজিষ্টিক সাপোর্ট। বিভিন্ন যন্ত্রপাতির যোগান আসে মহিউদ্দিন মুকুলের প্রতিষ্টান থেকে। ইতিমধ্যে তার প্রতিস্টানে বহু যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মসংস্থান খাতের অধিকাংশরাই তার গ্রামের বাড়ি পেকুয়া থেকে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্টান আছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে কোন কঠিন মুুহুর্ত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মহিউদ্দিন বাবর মুকুল মানুষের কাছে উপস্থিত হয়েছেন। মানুষের মানবিক দুর্গতি কমাতে গিয়েছেন ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে। পেকুয়া সদরের ভোটারদের মধ্যে অনেক আগে থেকেই জায়গা করে নিয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী মহিউদ্দিন মুকুল। সর্বোচ্চ শিক্ষিত ওই যুবক এখন পেকুয়াকে সাজাতে চান। নৌকা প্রতীক পেয়ে চেয়ারম্যান হওয়ার বাসনা পূরণ করতে চান মুকুল। তিনি আ’লীগের নেতা-কর্মীদের কাছেও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী। তৃণমূল আ’লীগের কর্মীরা বলেছেন, আমরা নৌকা দিতে চাই মহিউদ্দিন মুকুলকে। তিনি পরিবর্তন ঘটাতে পারবেন। অন্য কারো দ্বারা মোটেই সম্ভব নয়। তবে মুকুলের মাধ্যমে সম্ভব। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আহবান করবো সৎ, নীতিবান ও আদর্শের প্রতিচ্ছবি মহিউদ্দিন মুকুলকে আপনি দল থেকে মনোনয়ন দিন। তিনি দলের দু:সময়ের নেতা কর্মীদের নিয়ে এ পেকুয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।