অনলাইন ডেস্ক
মিসরে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের করের আওতায় আনার পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। যদিও এখনই সেই পরিকল্পনা বাস্তয়বায়ন হচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে সারাদেশে।
এক বিবৃতিতে মিসরের কর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে ইউটিউবার ও ব্লগারদের মধ্যে যারা পাঁচ লাখের উপরে মিসরীয় পাউন্ড (৩২ হাজার মার্কিন ডলার) প্রতি বছর আয় করছেন, তাদের করের আওতায় আনা হবে।
এক সাক্ষাৎকারে দেশটির সিনিয়র কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল গায়ের নতুন কর আইনের বিষয়টি আরও পরিষ্কার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মিসরে সোশ্যাল মিডিয়ায় যেকোনও ধরনের কাজ করে আয় করলে তাকে অবশ্যই কর দিতে হবে। আর নতুন এই কর আইন আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে চালু হবে।
এদিকে, আরেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কেশক নতুন এই কর আইন নিয়ে সবাইকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, মিসরে নতুন কর আইনের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা যদি কেউ মেনে না চলে- তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি এ অপরাধে পাঁচ বছরের বেশি কারাদণ্ডও হতে পারে।
তবে মিসরে সোশ্যাল মিডিয়ার কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উপর আরোপিত নতুন এই কর আইন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর পক্ষে ও বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। টুইটারে কেউ কেউ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মত দিয়েছেন। তারা মনে করছেন, নতুন কর আইনের সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।
যদিও কেউ কেউ এ আইন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তারা দাবি করছেন, কেন গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটারের উপর এই কর বসানো হচ্ছে না। অথচ তারা মিসরের ইন্টারনেট গ্রাহকদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্যভাবে সুবিধা নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিসরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কড়া নজরদারি রয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বিভাগের। যাদের পাঁচ হাজারের বেশি ফলোয়ার রয়েছে তাদের কার্যক্রম প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া দেশটির সাইবারক্রাইম আইনে আপত্তিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জেল-জরিমানার বিধানও চালু রয়েছে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।