মাননীয় প্রধানমন্ত্রী

দেশরত্ন শেখ হাসিনা

বিষয় : জোর জুলুম থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য আবেদন।

সবিনয়ের সহিত আপনার অবগতির জন্য আকুল প্রার্থনা এই যে আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী সংখ্যালঘু হত দরিদ্র পরিবারের নিরীহ একজন ব্যক্তি। আমি কক্সবাজার সদর উপজেলাধীন তৎকালীন ঝিলংঝা মৌজার আর এস ৬১ নং দাগের তফসিলমুক্ত জমি বিগত ১১/০৬/১৯৮৮ইং তারিখ হতে ১৪০১ কবলা মূলে ১০/০৬/১৯৮৯ ইং তারিখ ১৩৯৫ রেজিঃ কবলা মূলে ০৬/০৮/১৯৯০ ইং ২৪৮৪৪ রেজিঃ কবলা মূলে মোট ২.৫ গন্ডা (৫ শতক) জ,ই খরিদ করে উক্ত খরিদকৃত জমিতে ৩টি বসতবাড়ি নির্মান (টিন শেড পাকা) করে সন সন সরকারী কোষাগারে খাজনাদি পরিশোধক্রমে ভাড়াটিয়াসহ স্ব-পরিবারে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে ছিলাম। দীর্ঘ ২৯ বছর পরে কিছুদিন পূর্বে মৌলানা ইয়াসিন হাবিব সহ কয়েকজন ভূমি দস্যু জমি খরিদ করার প্রস্তাব দিলে আমি রাজি না হওয়ায় আওয়ামী লিগের চারজন নেতার সরাসরি সহযোগিতায় হেফাজত ও জামায়াতের ৩০-৪০ জন লোক এসে আমাকে ভিটাবাড়ী ছেড়ে দিয়ে ভারত চলে যেতে বলে। তাদের লোকজন আমার একটি টিনের ছাউনি ভেঙ্গে নিয়ে যায় এবং আমার ব্যবহারের অনেকন জিনিসপত্র গাড়ি করে নিয়ে যায়। আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদের হত্যার হুমকি দেয় এবং প্রতি নিয়ত হুমকি ধমকির দিতে থাকে। এ ব্যাপারে আমি কক্সবাজার সদরের মডেল থানা,মাননীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবগত করি। এই অভিযোগের খোজ পাওয়ার পর কয়েকজন সন্ত্রাসী (অপরিচিত) রাস্তাঘাটে এই বলে হুমকি দেয় যে পরবর্তিতে কোথাও এঈ জমির বিষয়ে মামলা করলে স্ব-পরিবারে গুম করে ফেলবে। আমি সংখ্যালঘু পরিবারের সন্তান বলে কোন আইনী সহায়তা পাই নি। ১২/০৭/২০১৪ ইং তারিখে রাত প্রায় ১১টায় বিবাদীগণ দলীয় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার উক্ত জায়গার ভাড়াটীয়াদের বের করে দেয় এবং আমাকে জিম্মি করে রেখে আমার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীগন তখন বলে যে, “জান দিবি নাকি জমি দিব্বি ?” ১৪/০৭/২০১৪ ইং তারিখে ছয়(৬) জন সন্ত্রাসী আমাকে অপহরণ করে একটি কাগজে আমার থেকে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়।এরপর আমাকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা মোস্তাক আহাং,পিতা- তজুমিয়া ,সাং –ভারওয়ার খালি কে ৩ কড়া জমি দখল দেয়। উল্লেখ্য যে বিবাদীগনের বিরুদ্ধে এডি এম কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। সরকারী আইনের তোয়াক্কা না করে বর্তমানে তারা আমার টিন শেডের তিনটি পাকা বাড়ি ভেঙ্গে দালান তৈরি করছে। টিন শেডের তিনটি পাকা বাড়ির বর্তমান মূল্য ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ টাকা) । আমার কষ্টের মাধ্যমে অর্জন করা এই জমি আমার হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। গত ২১/০৯/২০২০ ইং তারিখে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও উন্নয়ন কতৃপক্ষকে এই ব্যাপারে অবগত করার পরেও কোন প্রকার সাহায্য পাই নি। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাগজ পত্রও প্রেরন করেছি।

অতএব মহোদয় সমীপে প্রার্থনা উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে পর্যালোচনা করে আমার দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ভোগদখলীয় বসতভিটা রক্ষা করতঃ এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপনার হস্তক্ষেপ কামন করছি।

নিবেদক

বাদল কান্তি দাশ

পিতাঃ মনিন্দ্র লাল দাশ

ঠিকানাঃ ঘোনার পাড়া,কক্সবাজার।

মোবাইলঃ ০১৮২৫২৫২৭২৯