প্রতিবন্ধী কৃষকের বাগান নিধন, খতিয়ানভুক্ত জমিতে পোল্ট্রি খামার ভাংচুরকারি বন কর্মকর্তাদের শাস্তি দিন

রামু প্রতিনিধি:
রামুতে প্রতিবন্ধী কৃষকের ৫ হাজার লেবু গাছ কর্তন, খতিয়ানভুক্ত জমিতে নির্মিত পোল্ট্রি খামার উচ্ছেদ এবং একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে নানা অপকর্মে জড়িত ও মামলাবাজ বনবিভাগের কতিপয় কর্মকর্তাদের শাস্তির জোর দাবি জানানো হয়।

আমরা জোয়ারিনালাবাসী নামক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী।

শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা বাজারে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন-জোয়ারিয়ানালা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ টিটু সহ কতিপয় বন কর্মকর্তা সম্প্রতি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বন রক্ষার পরিবর্তে তারা বনের গাছপালা নিধন, খতিয়ানভুক্ত জমিতে পোল্ট্রখামার স্থানীয়দের মিথ্যা মামলায় জড়ানো এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হচ্ছে।
লেবুবাগান কর্তন, লেবুবাগান মালিককে জেলে প্রেরন ও খতিয়ানভুক্ত জমিতে মুরগির ফার্ম ভেঙ্গে একশত জনের বিরুদ্ধে হয়রানি মামলার প্রত্যাহার করতে হবে। জনগণের সাথে আক্রোশের মাধ্যমে বনবিভাগ টিকবেনা।

সমাবেশে বন কর্মকর্তা কর্তৃক হয়রানির শিকার ফরিদুল আলম, আমেনা খাতুন, রাহেলা বেগম, জেলে থাকা প্রতিবন্ধী কৃষক নজির আলমের স্ত্রী খালেদা বেগম, স্থানীয় বাসিন্দা তৌহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের হাজারো নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

উল্লেখ্য সম্প্রতি জোয়ারিনালা রেঞ্জ কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদের নেতৃত্বে একদল বন কর্মকর্তা-কর্মচারী রাতের আধারে খতিয়ানভুক্ত জমিতে নির্মিত একটি খামার ঘর গুড়িয়ে দেয়। এ সময় জনতার হামলায় কয়েকজন বনকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় এলাকার শতাধিক লোক জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে বন বিভাগ।
এর আগে প্রতিবন্ধী কৃষক নজির আলমের ৫ হাজার লেবু গাছ কেটে দেয় বন বিভাগ। পরে প্রতিবন্ধী কৃষক ও তার ছেলের নামে দায়ের করা হয় পাঁচটি মামলা। একের পর এক মিথ্যা মামলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে পুরো এলাকাবাসি।