সংবাদদাতা:
টেকনাফ সদর ইউনিয়নে পরাজয়ের ক্ষোভে বিজয়ী মেম্বারের মেম্বারের ভাইকে অপহরণ করে নিষ্ঠুর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলার শিকার গুরুতর আহত সিরাজুল হক প্রকাশ চান মিয়া নামের ওই ব্যক্তি এখন হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
অভিযোগ মতে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন নির্বাচনে টেকনাফ সদরের ৮ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী ছিলেন আলী আহামদ সওদাগর ও বর্তমান মেম্বার এনামুল হক। ভোটের লড়াইয়ে তিনশ’র বেশি ভোটে পরাজিত হন আলী আহামদ। পরাজয়ের পর থেকে মারমূখী অবস্থান নিয়েছে আলী আহমদ সওদাগর ও তার ভাতিজা একরাম।
এনাম মেম্বারের ভাই সাহাব উদ্দীন সাবু জানিয়েছেন, তার বড়ভাই সিরাজুল হক প্রকাশ চান মিয়া একজন ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যবসার কাজ শেষে বিকাল ৪টার দিকে সাবরাং থেকে ফেরার পথে মৌলভীপাড়া বাজার আসলে তাকে অপহরণ করে আলী আহমদের ভাতিজা একরামের নেতৃত্বে তার বাহিনীর লোকজন। এতে যোগ দেয় ছিদ্দিক ও ফরিদ বাহিনীও। অপরহণ করে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে হাতুড়ি, ইট, লাঠি দিয়ে মাথা, চোখ, মেরুদন্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। এমনকি স্পর্শকাতর স্থানেও হাতুড়ি দিয়ে নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করা হয়।
সাহাব উদ্দীন সাবু আরো জানান, অপহরণের সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ চার ঘণ্টা চেষ্টা করেও সিরাজুল হক চান মিয়াকে উদ্ধার করতে পারেনি। শেষে উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে চান মিয়াকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সাথে সাথে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুনরায় নির্বাচিত মেম্বার এনামুল হক বলেন, ২০১৫ সালে আমার ভাই আজিজুল হক মার্কিনকে নির্মমভাবে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছিলো ছিদ্দিক ও ফরিদ বাহিনী। ভাইকে হত্যা করেও তারা ক্ষান্ত হয়নি তারা। এরপরও বিভিন্নভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে আসছে। এর অংশ হিসেবে ছিদ্দিক ও ফরিদ বাহিনী আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষ আলী আহামদ গংয়ের সাথে যোগ দেয়। নির্বাচন আসলে তারা এক জোট হয়ে ভোট ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু প্রশাসনের কড়াকড়ির কারণে তারা ভোট ছিনিয়ে নিতে পারেনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ক্ষিপ্ত হয়ে একরাম বাহিনী এবং ছিদ্দিক ও ফরিদ বাহিনী একাত্মা হয়ে আমাদের ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। তারই অংশ হিসেবে আমার ভাইকে অপহরণ করে চার ঘণ্টা আটকে রেখে নির্মমভাবে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমি এই জঘন্য ঘটনার দৃষ্টমূলক বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনার কথা আমরা জেনেছি। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে
টেকনাফে বিজয়ী এনাম মেম্বারের ভাইয়ের উপর নিষ্ঠুর হামলা
পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে
