যুগান্তর: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ভোট ডাকাত’ অভিহিত করে এই সরকার হটাতে লাঠিসোটা নিয়ে মাঠে নামার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মিনমিন করা বাদ দেন, মাঠে নামেন। এই ভোট ডাকাতদের সরাতে চাইলে লাঠিসোটা যা আছে নিয়ে নেমে পড়েন। ভোট ডাকাতরা পালিয়ে যাবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি মুক্ত- এমন প্রশ্ন করে জাফরুল্লাহ বলেন, খালেদা জিয়া যদি মুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে দেশবাসীর প্রত্যাশা কী ছিল? জিয়ার সমাধী জিয়ারত করার জন্য তাকে অন্তত হুইলচেয়ারে করে চন্দ্রীমা উদ্যানে নিয়ে যাবেন। উনি (খালেদা জিয়া) কি যেতে পেরেছেন?

খালেদা জিয়া সাহসী মহিলা উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন- প্রথমবার যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন আমি বলেছিলাম ট্রানজিট দিয়েন না। তিনি আমার পরামর্শ নিয়েছিলেন। আজকে দেখেন ট্রানজিটে কী পরিমাণ লুট হচ্ছে। এজন্য বলি আমাদের খালেদা জিয়াকে দরকার। কারণ বর্তমানে এখন দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় একজন মানুষ খালেদা জিয়া।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ খেতে পায় না। সব জিনিসের দাম বেশি। এর চাইতে দুখী দেশ আমরা কখনও দেখিনি। যারা ক্ষমতায় আসেন তাদের মধ্যে ন্যূনতম মানবিকতা নেই। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল একই মঞ্চে আসব- এটা আমি মনে করি না। একই মঞ্চে আসতে হবে এমনটির দরকারও নেই। সব জায়গা থেকে শুধুমাত্র এখন একই কথা উচ্চারণ করতে হবে। এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন নয়।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে লড়াই হলে আবারও জেলে বন্দি হতে হবে। সেই ১৫ সালের মামলায় এখন অনেকে ঝুলছে। এখন যেন সরকারের সমালোচনা করতে সরকারের কাছেই দরখাস্ত লিখতে হয়। এদেশের মানুষ বিদেশের মাটিতে ঘরবাড়ি করতে চায় না। এদেশের মানুষ চায় একটু কথা বলার স্বাধীনতা, ভোট দেওয়ার স্বাধীনতা।

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নাজেহাল। স্কুল খোলা হয়েছে, কিন্তু খোলা হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়। কারণ সরকারের ভয়, যদি কোটা সংস্কার আন্দোলনের মতো ছাত্ররা ভিন্ন বিষয় নিয়ে আবারও আন্দোলনে নামে।

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।