বার্তা পরিবেশক:

“যতদিন বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য থাকবে, ততদিন কবি নূরুল হুদা বেঁচে থাকবেন। তিনি জাতিসত্বার কবি। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যের, বাংলা সংস্কৃতির নতুন দ্বার উন্মোচন করে জাতিকে সঠিক নির্দেশনা দিবেন “।

রামু সমিতি, ঢাকা কতৃর্ক আয়োজিত “শরতের নৈসর্গিক বিকেলে- স্বাগত হে কবি” শীর্ষক আলোচনায় কবি নূরুল হুদাকে এভাবেই অভিনন্দিত করেছেন আগত অতিথি বক্তারা। তাঁদের প্রত্যেকের বক্তব্যে মুহম্মদ নূরুল হুদার প্রতি তাঁদের শ্রদ্ধা, ভালবাসা, প্রত্যাশা অংকিত হয়েছে।

রামু সমিতির সহ-সভাপতি মিসেস মাফরুহা সুলতানার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা, রাজনীতিবিদ আসাদুজ্জামান নূর এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম হামিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আকতার, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী, সাবেক সচিব আ ম ম নাসির উদ্দিন, সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “রামু সমিতি কবি নুরুল হুদাকে সম্মানিত করে কবি, সাহিত্যিকদের স্মরণ, বরণ করার যে নজির স্থাপন করেছে তা অনুকরণীয়। তিনি নুরুল হুদার বই, কবি সবাইকে পাঠ্যতালিকায় নিয়মিতকরণের উপর জোর স্থাপন করেন। “

বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক মহাপরিচালক ম হামিদ তাঁর বক্তব্যে নূরুল হুদাকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তির হাতে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তাঁর সময়ে বাংলা একাডেমি সঠিক জাতিকে মনণশীল নির্দেশনা দিবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরিন আকতার তাঁর বক্তব্যে কবি নুরুল হুদার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে বলেন, নূরুল হুদার এই অর্জন কক্সবাজার বাসীর জন্য অনন্য অর্জন।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর সোমেশ্বর চক্রবর্তী নুরুল হুদার বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করেন ও রামু সমিতি এ ধরণের মহতি আয়োজন করাতে সমিতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সংবর্ধিত অতিথি মুহম্মদ নুরুল হুদা স্বরচিত বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তি করে শুনান ও রামু সমিতিকে কৃতজ্ঞতায় অলংকিত করেন। তিনি বলেন, আমি বাংলা একাডেমির একুশতম মহাপরিচালক। আমার দায়িত্বও একুশের মত বিস্তৃত, প্রত্যাশিত।

পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর অনুষ্ঠানে সম্প্রতি যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁদের স্মরণে শোক প্রস্তাব আনা হয়। রামুর বিভিন্ন ইউনিয়নে মাস্ক বিতরণের কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রামু সমিতির সহ-সভাপতি সুজন শর্মা। এসময় রামু সমিতির ট্রাস্টি চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন চৌধুরীকে মাস্ক প্রদান করার মাধ্যমে কার্যক্রম সূচনা করা হয়। রামু সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইমুল আলম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যে রামু সমিতির সাম্প্রতিক কার্যক্রম ও বিভিন্ন লক্ষ্য উপস্থাপিত হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মিসেস মাফরুহা সুলতানা অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও রামু সমিতির সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানান।

রামু সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম অনুষ্ঠান সঞ্ছালনা করেন।