রামু প্রতিনিধি:
রামুতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ ও তাঁর ছোট ভাই সরওয়ার কামাল কাজল। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত সরওয়ার কামাল কাজলকে মূমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাবিব উল্লাহ ও সরওয়ার কামাল কাজল রামুর কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া এলাকার মৃত হাজ¦ী ছালেহ আহমদের ছেলে।
এ ঘটনায় আহত কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হাবিব উল্লাহ বাদি হয়ে বৃহষ্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রামু থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। এতে ৬জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরা হলেন- রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপী ভুতপাড়া এলাকার ছৈয়দ কাসিমের ছেলে নুরুল আলম, উখিয়ারঘোনা টিলাপাড়া এলাকার আলী আহমদের ছেলে মহি উদ্দিন ও জামাল উদ্দিন, মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে আলী আহমদ, হাইটুপী ভুতপাড়া এলাকার ছৈয়দ কাসিমের ছেলে নুরুল হাকিম ও শামসুল আলমের ছেলে আবুল কাসেম সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন।
লিখিত এজাহার ও প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সরওয়ার কামাল কাজল বাড়ির পাশর্^বর্তী লেবু বাগান পরিচর্যা করছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে নুরুল আলম, মহি উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আলী আহমদ, নুরুল হাকিম, আবুল কাসেমের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ধারালো ছুরি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরওয়ার কামালের উপর হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তার বুকের বামপাশে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ভাইকে হামলার কবল থেকে উদ্ধার করতে এসে হামলার শিকার হন বড় ভাই ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ। পরে হামলাকারিরা তাদের সর্বস্ব লুট করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এদিকে ছুরিকাঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে মূমূর্ষু অবস্থায় সরওয়ার কামালকে স্থানীয়রা প্রথমে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থা আশংকাজনক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে এ্যাম্বুলেন্স যোগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন। এছাড়া ছুরিকাঘাত ও মারধরে আহত বড় ভাই হাবিব উল্লাহ কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।

ইউপি সদস্য হাবিব উল্লাহ জানিয়েছেন- পূর্ব শত্রæতার জের ধরে একটি চক্র বহিরাগত লোকজন নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। হামলাকারিদের ছুরিকাঘাত ও মারধরে তিনি এবং তার ছোট ভাই সরওয়ার কামাল কাজল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এছাড়া বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় পুরো এলাকায় জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ক্ষুব্দ এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িত বহিরাগত ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।
রামু থানায় অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হোসাইন জানিয়েছেন, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।