চকরিয়া সংবাদদাতা:
চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে সহিংতা শুরু হয়েছে। উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী মাঠে। ভীতি বাড়ছে ভোটারদের মাঝে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেইন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নৌকার তিনজন কর্মী আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সবুজ চৌধুরী, রাজিব খান ও রোপেচ খান।

তাদেরকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ হামলার ঘটনার জন্য সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হক ও তার বাহিনীকে দায়ী করেছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঝাড়ু মিছিল বের করে কিক্ষুব্ধ জনতা। ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তারা। অন্যথায় হামলাকারীদের নির্বাচনের মাঠেই প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে নৌকার সমর্থকরা।

এদিকে সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন মেয়র আলমগীর চৌধুরী।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সোমবার বেলা দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেইন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে নৌকার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আমার কর্মী সবুজ চৌধূরী, রাজিব খান, রোপেচ খান ও অন্যান্য কর্মীরা। এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই নারিকেল গাছ প্রতীকের সতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জিয়াবুল হকের সমর্থক মিজানুর রহমান, রুবেল, দলিল, আব্দুল কাইয়ুম, শিব্বির আহামদ, হুমায়ুন কবির, হাসান আল বছরী, মো. শোয়াইব, মিজানুর রহমান, আব্দুল মজিদ, নুরুল আবচার, নুরুল হক, সাদ্দাম হোসেন, মিশুক, মো. পারভেজ ও মো. ফেরদৌস ও তাদের সহযোগীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার কর্মীদের ঘিরে ফেলে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের শর্টগান থেকে গুলি ছুড়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্ঠির পর আমার কর্মীদের ধরে লোহার রট, হকিষ্টিক বেদম মারধর করে। এমনকি সন্ত্রাসীরা আমার কর্মী সবুজ চৌধূরী, রাজিব খান ও রোপেচ খানের উপর বিদ্যুতের হিট দিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বর্তমানে তারা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী আরও বলেন, আমি মেয়র হিসেবে গত ৫ বছর ধরে পৌর এলাকায় অভ’তপূর্ব উন্নয়ন করেছি। তাই আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বীত হয়ে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর সমর্থরা সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের এহেন কার্যক্রমে আমি নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে শংকিত। তিনি বলেন, যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এজন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ঠ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী আলমগীর চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মী, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও নৌকা প্রতীকের কয়েকশত সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।