নুরুল আমিন হেলালী:

করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর অবশেষে পরিস্থিতি বিবেচনা করে আজ খুলে দিয়েছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম।
দীর্ঘদিন পর স্কুলে গিয়ে স্ব-শরীরে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পেরে উৎফুল্ল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল।

৫৪৪ দিন একটানা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বন্ধ থাকার পর পর্যটন নগরী কক্সবাজারেও সরকার নির্ধারিত ১২ সেপ্টেম্বর (রবিবার) খুলেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। উন্মুচিত হয়েছে শিক্ষার দ্বার।

নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে জেলার প্রতিটি শিক্ষালয়ে আগে থেকেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল এমনটিই জানিয়েছেন কয়েকজন প্রধান শিক্ষক।

তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষ ধুলোমাখা বোর্ড ও বেঞ্চ ধোঁয়ামোছার কাজ করছেন স্বীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।

কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদ্রাসায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছেন।

ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই যথাসময়ে পাঠদান শুরু করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পর্কে ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল হক জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে আমরা আগে থেকেই যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথেও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মোবাইলে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি এবং আশানুরূপ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিতও হয়েছে।

এছাড়া শিক্ষামন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি এই প্রতিবেদককে অবহিত করেন।

অপরদিকে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে সরাসরি পাঠদানে অংশ নিতে পারায় খুশি শিক্ষার্থীরাও।

মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ ঈদগাঁও উপজেলার সচিব নুরুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যেই শিক্ষাবোর্ড থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি সাপ্তাহিক রুটিন দেয়া হয়েছে সে অনুযায়ী শিক্ষা-কার্যক্রম চলবে।

কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল এন্ড কেজি স্কুল পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা-কার্যক্রম শুরু করেছে দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ছালেহ উদ্দিন।