চকরিয়া সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর ভিলিজারপাড়া ইসলামিয়া হাফেজখানা ও এতিমখানায় প্রায় ৬৪জন শিক্ষার্থীর জীবিত পিতাকে মৃত দেখিয়ে মৃত্যু সনদ দিয়ে বিগত ২০১৪সন থেকে সরকারি বরাদ্দের প্রায় এক টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় মুসল্লী ও এতিমখানার অভিভাবকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছে।

১০ সেপ্টেম্বর বেলা ২টায় সুরাজপুর ভিলিজার পাড়া এতিমখানা ও মসজিদের সামনে সড়কে উক্ত বিক্ষোভে মুসল্লী ও অভিভাবকরা সহ এলাকার শতশত জনসাধারণ অংশ নেন। এরপূর্বে ভিলিজারপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজে এতিমখানার বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাধারণ মুসল্লীদের তুপের মুখে পড়েন। প্রতিবাদের মুখে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন।

 

জানাগেছে, স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল কাদেরকে ২০১৩ সালে মৃত ঘোষণা দিয়ে চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম সাক্ষরিত ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে মৃত্যু সনদ ইস্যু করেন। একই সাথে ইউনিয়নের আরো ৬৪জন জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে বিগত ৬-৭ বছর ধরে এতিমদের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত (ক্যাপিটেশন) প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এবিষয়ে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্য্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের পিতা নুরুল কাদের বাদী হয়ে সম্প্রতি মামলা (নং-৯৫০) দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয়েছে সুরাজপুর- মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম কাজল এবং মাদরাসা পরিচালক মাওলানা আহাসান হাবীব পারভেজকে। আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। এছাড়াও এতিমখানার নামে-বেনামে আরো অন্তত অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

এদিকে, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবীতে জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ প্রদর্শন ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনসাধারণ ও এতিমখানার অভিভাবকরা।

এবিষয়ে সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম মসজিদে জুমার নামাজের পর মাইকে কথা বলতে গিয়ে মুসল্লীদের তোপের মুখে পড়েন। মুঠোফোনে তার কাছ থেকে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন এবং পত্রিকায় লেখালেখা করলে তার সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেন।