মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামীদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এর আদালতে স্বেচ্ছায় প্রদত্ত জবানবন্দী প্রাত্যাহার (Refraction) এর জন্য আসামীপক্ষের আবেদন সমুহ কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল আমলে নেননি। গত ৮ সেপ্টেম্বর আসামী এসআই মোঃ শাহজাহান আলী, আবদুল আল মাহমুদ ও মোহাম্মদ রাজিব হোসেন’র পক্ষে তাদের আইনজীবীগণ এ বিষয়ে আদালতে আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক এসব আবেদনের বিষয়ে কোন আদেশ না দিয়ে আবেদনটি নথিভুক্ত করে রাখেন।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সেরেস্তাদার এম. নুরুল কবির সিবিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণকালে এ আবেদনটি করা হয়েছিলো।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট সকালে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য প্রদানের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক এ বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ২ দফায় মোট ৭ কার্যদিবসে আদালতে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন করা হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় সাক্ষ্য-জেরা সম্পন্ন করে আগামী ২০-২২ সেপ্টেম্বর একটানা তিনদিন তৃতীয় দফায় মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহনের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সন্তোষ বড়ুয়া সিবিএন-কে জানান, এ মামলায় ৮৩ জন চার্জসীট ভুক্ত সাক্ষী রয়েছে। চলতি বছরের গত ২৭ জুন ফৌজদারী দন্ডবিধির ৩০২/২০১/১০৯/ ১১৪/১২০-খ/ ৩৪ ধারায় সকল আসামীর উপস্থিতিতে মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। হত্যার পাঁচদিনের মাথায় ৫ আগস্ট সিনহার তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর : এসটি-৪৯৩/২০২১ ইংরেজী। যার জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০ ইংরেজি। যার টেকনাফ মডেল থানা মামলা নম্বর : ৯/২০২০ ইংরেজি।

এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় চার মাসের বেশি সময় ধরে চলা তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন সাক্ষী সহ আলোচিত মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করেন র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।