সিবিএন ডেস্ক:
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, আগামী বছর করোনা পরিস্থিতির উন্নত হলে এবং বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া গেলে, এর আগে যারা প্রাক- নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন, তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজে যেতে পারবেন।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ থেকে হজে গমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাজনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বহির্বিশ্ব হতে কোনও হজযাত্রী সৌদি আরবে যাওয়ার সুযোগ পাননি। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকেও কোনও হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে যেতে পারেননি।’

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কোনও প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমা দেওয়া টাকা উত্তোলন করতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করলে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালে ৩ হাজার ৪৫৭ জন নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং ২ হাজার ৭০০ জন বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছেন।’

ফরিদুল হক খান জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে হজে যাওয়ার জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৭১৯ জন নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে ৫৩ হাজার ৪২৩ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু ছিল। এরপর আর কোনও নিবন্ধন করা হয়নি। তবে হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। আজ (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৫ হাজার ২২৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে, ২০২২ সালে হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা নবায়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল ইসলাম ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদফতর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন ব্যাংক, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর প্রতিনিধিসহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।