প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরী সভায় কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূল পর্যায় থেকে সাজাতে হবে। তৃণমুল পর্যায়ে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। দ্রুত ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন সমাপ্ত করে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে, এরপর উপজেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তৃণমূলের কর্মীরা কখনো দলের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে না। তৃণমূলের সম্মেলন করতে গিয়ে যাহাতে মাদক ব্যবসায়ী, অনুপ্রবেশকারীরা নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, সংগঠনের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে দেশব্যাপী যে, উন্নয়নের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সে জন্য বিএনপি-জামায়াত ঈর্ষান্বিত হয়ে নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা ৭১ এর পরাজিত শত্রু ও বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সাথে নিয়ে ২০১৪ সালের মতো নাশকতা সৃষ্টির হীন মানসিকতায় মানুষের যান-মালের ব্যাপক ক্ষতি সাধনের অপচেষ্টায় লিপ্ত। জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ও গ্রহণ যোগ্যতায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যতে এ দেশের মানুষের কাছে অতীতের ন্যায় প্রত্যাখান হওয়ার ভয়ে তারা স্বাভাবিক রাজনীতি না করে বর্তমানে নাশকতার পরিকল্পনায় এগোচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপি স্বাভাবিক রাজনীতি করুক, মানুষের কথা বলুক, মানুষের কল্যাণ কামনা করুক। আমরা তাদের স্বাভাবিক রাজনীতে স্বাগত জানাব, নাশকতা ও অপরাজনীতিকে প্রতিহত করবো।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২ দিন ব্যাপী কার্যনির্বাহী সংসদের জরুরী সভায় বিগত ২৮ আগষ্ট ২০২১ইং কেন্দ্রিয় সম্মানিত সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জননেতা আবু সাঈদ আল মাহামুদ স্বপন এমপি,র নির্দেশনা অনুযায়ী বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (১) তৃণমূল পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সাংগঠনিক গতিশীলতা জোরদার করার জন্য জেলার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ১০টি সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। (২) ১১ সেপ্টেম্বর মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (৩) জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে উখিয়ায় একটি বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (৪) জেলার আওতাধীন সকল উপজেলায় সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ধিত সভার তারিখ নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (৫) ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্ধিত সভা করার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদককে পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (৬) পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং পূর্বের উপজেলা কমিটিকে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়। (৭) টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে সভাপতির পদ শূন্য হওয়ায় সহ-সভাপতি মাষ্টার জাহিদ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে মনোনয়ন করা হয়।

সভায় বক্তব্য রাখেন-অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, শাহ আলম চৌধুরী রাজা, এম. আজিজুর রহমান, এড. বদিউল আলম সিকদার, মোহাম্মদ শফিক মিয়া, জাফর আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি., মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এড. আব্বাস উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল খালেক, আবদুর রহমান বদি, এড. ফরিদুল আলম, এড. মমতাজ আহমদ, খোরশেদ আলম কুতুবী, এড. আয়াছুর রহমান, ইউনুছ বাঙ্গালী, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, হেলাল উদ্দিন কবির, খালেদ মাহমুদ, কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, এড. তাপস রক্ষিত, ডাঃ মাহবুবুর রহমান, এম.এ মনজুর, এড. সোলতানুল আলম, আদিল উদ্দিন চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, শফিউল আলম চৌধুরী, শফিকুল কাদের শফিক, এটিএম জিয়া উদ্দিন, আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, মিজানুর রহমান, আমিনুর রশিদ দুলাল, আলহাজ্ব সোনা আলী, এড. আবদুর রউফ, এড. অরূপ বড়–য়া তপু, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান ইকরা প্রমুখ।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ড. নুরুল আবছার।