প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেছেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১টি বছর আমরা স্কুল জীবনে, পাঠ্যপুস্তকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাইনি। এ কারনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, জাতির পিতার নেতৃত্ব, জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের গুনাবলি সম্পর্কে জানতে পারেনি। তার পরিবর্তে প্রজন্মের কাছে এক ধরনের মিথ্যাচার করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে অনলাইন চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগীতা ২০২১ এর ফলাফল ঘোষনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর খুনিরা সেটিকে আইনগতভাবে বৈধতা দেওয়ার জন্য ইনডিমিনিটি অর্ডিনেন্স জারি করেছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডকে তারা রাজনৈতিক বৈধতা দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অনেক প্রোপাগান্ডা, মিথ্যাচার তারা করেছে। বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হনন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের চরিত্র হনন করার চেষ্টা হয়েছে।
বিপ্লব বড়ুয়া আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে যেসব শিশু-কিশোর যুক্ত হয়েছেন, তাদের উপলব্দিতে, চিন্তায় এই মহাপুরুষের নাম, মহানায়কের নাম, যার কারনে বাংলাদেশ তার নাম যে প্রোথিত হলো, তার নামের যে বীজ বপন করা হলো এ ধরনের প্রতিযোগীতার মাধ্যমে তার জন্য আমি পৌর আওয়াামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম। সভা সঞ্চালনা করেন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, মেয়র মুজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি। সেদিন হত্যা করেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্যকে, স্বাধীনতার চেতনাকে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। সেই চক্র এখনও তৎপর।
তিনি বলেন, শিশু-কিশোরদের প্রতি আহ্বান থাকবে তোমরা বঙ্গবন্ধুকে জানো, মুক্তিযুদ্ধকে জানো।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, একটি কুচক্রি মহল পাকিস্তানি দোসরদের সাথে আঁতাত করে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার অপচেষ্টা করেছিল। দুর্বৃত্তরা পারেনি। বাঙ্গালী জাতি তাদের প্রত্যাখান করেছে।
সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সমাজের অবক্ষয়ের এই সময়ে রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের প্রতিযোগীতা এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি এখন চলছে। সেই সময়ে কক্সবাজার পৌর আওয়াামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আগামী প্রজন্মের জন্য সাংস্কৃতিক মনস্ক, ইতিহাস মনস্ক এবং অসাম্প্রদায়িক চেনতায় দেশ গঠনের জন্য এ ধরনের কর্মসূচি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের আজকের প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে যাঁরা বঙ্গবন্ধুর ছকি এঁকেছেন, যারা জাতীয় পতাকা এঁকেছে, স্মৃতিসৌধ একেছে, যারা বঙ্গবন্ধুর কবিতাকে উচ্চারণ করেছে তাদের মনন থেকে, তাদের মস্তিকে তারা যে বঙ্গবন্ধুকে গ্রহন করেছে এর মধ্য দিয়ে আমরা মনে করি ঘাতকরা ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করলেও আদর্শের মুজিবকে, জাতির পিতা মুজিবকে, বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার মহানায়ককে তারা হত্যা করতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে ফলাফল ঘোষণা করেন সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগীতা উপ পরিষদের সদস্য সচিব ওয়াহিদ মুরাদ সুমন। অনুষ্ঠান এ্যাডভোকেট প্রতিভা দাশ ও নিপা ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধু কে নিবেদিত আবৃত্তি ও গান পরিবেশনা করেন। শুরুতে বঙ্গবন্ধুর জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করেন ফয়সাল হুদা। প্রতিযোগীরা ছড়া ও আবৃত্তি পরিবেশন করে।
অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসিফ উল মওলা, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, নাজমুল হোসেন নাজিম,সেলিম নেওয়াজ, আতিক উল্লাহ কোম্পানী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক রফিক মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মেহেদী রহমান, মিজানুর রহমান, শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, এ.বি সিদ্দিকী খোকন, শাহেদ আলী, ১ নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক ইয়াহিয়া খান, ৩নং ওয়ার্ড পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জানে আলম পুতু, সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, ২ নং ওয়ার্ডের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আজাদ, আজিমুল হক আজিম, ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি আরমানুল আজিম, সাধারণ সম্পাদক আবু আহাম্মেদ, ৫ নং ওয়ার্ড সাধারন সম্পাদক তাজ উদ্দিন, ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি জাফর আলম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম ওয়াজেদ, ৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি দুলাল দাশ, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম রুবেল, ৯ নং ওয়ার্ড সভাপতি জহিরুল কাদের ভুট্টো, সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন কবির, ১০ নং ওয়ার্ড সভাপতি নুর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক দিপক দাশ, ১১ নং ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম,সাধারন সম্পাদক আব্দুল মজিদ সুমন, ১২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম ডালিম, মোরশেদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা ফয়সাল হুদা, সোহেল রানা, আমির উদ্দিন, সাগর পাল, আবুল কালাম সহ কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগ কন্টাক্ট ট্রেসিং টিমের সদস্যরা।
প্রতিযোগীতায় যারা বিজয়ীঃ চিত্রাঙ্কন ক গ্রুপে প্রথম সিলভিয়া করিম আফরা, দ্বিতীয় মিফতাহুল জান্নাত আফরিন, তৃতীয় আসমাইল। চিত্রাঙ্কন খ গ্রুপে প্রথম আফসানা কবির, দ্বিতীয় শাহীন আলম নিশান, তৃতীয় মুশফিকা রশিদ তাফসি ও সামাইয়া করিম আদ্রিতা। চিত্রাঙ্কন গ গ্রুপে প্রথম জাবিয়া আলম তোফা, দ্বিতীয় তাসনিম ইবনে আবু নাবিল, তৃতীয় মো. শামসুজ্জামান সাইফ, সামিয়া জান্নাত আরিবা ও লিলিয়ান ত্রিপুরা। আবৃত্তি ক গ্রুপে প্রথম রুসদিয়া বিনতে তাহের, দ্বিতীয় সয়নরতি চৌধুরী জেনি, তৃতীয় সিলমা সুবাহ সুরাইয়া ও বিশিক দেবনাথ। আবৃত্তি খ গ্রুপে প্রথম ইশাতির বাদিয়া রাশেদ, দ্বিতীয় শেখ মাবরুবা রহমান লাইভা, তৃতীয় সুদীপ্তা দাশ ও আরতাহী মো. আল জাওয়াদ। আবৃত্তি গ বিভাগে প্রথম শ্যামা দেব সোমা, দ্বিতীয় আ.ন.ম রেফায়েত আফিফ, তৃতীয় কাশফিয়া সুলতানা তারা। আবৃত্তি ঘ বিভাগে প্রথম আনিকা তাসনিম তাপসী, দ্বিতীয় রওজাতুল জান্নাত, তৃতীয় শ্রুতি দাস। রচনা প্রতিযোগীতায় ক গ্রুপে প্রথম আরতাহি মো. আল জাওয়াদ, দ্বিতীয় তাসনিয়া হাসান তাহি, তৃতীয় সাইম ইবনে আব্দুল্লাহ ও শেখ মাবরুবা রহমান লাইভা। খ গ্রুপে প্রথম সংযুক্তা চৌধুরী, দ্বিতীয় মো. শামসুজ্জামান সাইফ, তৃতীয় আলভি হোসাইন সিফাত।