নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম এমএ বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি আগস্ট মাস আসলেই নতুন নতুন ফাঁদ পাতে। সেই পরাজিত শক্তি সুযোগ পেলেই বাঙালি জাতির ওপর প্রতিশোধ নিতে তত্পর হয়ে উঠে। একাত্তরে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইতিহাসের নির্মম এই হত্যাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিয়েছিল পাকিস্তানের চর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও তার দোসরেরা।
একইভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া, কুপুত্র তারেক রহমানসহ বিএনপি-জামায়াত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আরেকটি নির্মম হত্যাযজ্ঞ সংঘটিত করে প্রকাশ্যে জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে। সেইদিনের অন্যতম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু আল্লাহর রহমত এবং নেতাকর্মীদের মানববর্মে সেইদিনও প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। সেই গ্রেনেড হামলায় হারাতে হয়েছে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ অনেক নেতাকর্মীকে।
এমপি জাফর আলম আরো বলেন, ‘প্রতিবছর আগস্ট মাস আসলেই সেই পরাজিত শক্তি ছোবল মারা সুযোগ খুঁজে। তাই যুবলীগের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের যে কোন ষড়যন্ত্র, ফাঁদ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা দিবস উপলে চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে চকরিয়া আবাসিক মহিলা কলেজ হলরুমে বুধবার (২৫ আগস্ট) আয়োজিত আলোচনা সভা, খতমে কোরআন, বৃ রোপন ও গণভোজের কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি জাফর আলম উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম শহীদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছিরের সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহম্মদ বাহাদুর, বিশেষ বক্তার বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দীন চৌধুরী, আফজালুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পরিমল বড়ুয়া, ল্যারচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সেলিম। জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা হুমায়ুন কবির হিমু, মির্জা ওবাইদ রুমেল, রিগ্যান আরাফাত, ইসমাইল সাজ্জাদ, আরিফ উল্লাহ্, জাহাংগীর আলম, নুরুল আলম, মো. হানিফ, নাসির সিকদার।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শওকত হোসেন, শ্রমিকলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দীন মামুন, মাতামুহুরী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আনছারুল করিম, পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি কাউন্সিলর মুজিবুল হক, জাবেদ হোসেন পুতুল, মহিদুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল, শফিউল আজম, সিনিয়র সদস্য হেলাল উদ্দীন, আলহাজ্ব হায়দার আলী, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসানুল ইসলাম আদর, সাইফুল ইসলাম সাদেক, মো. সাইফুদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ, রেফায়েত সিকদার, তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক আজাজুল হক, দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন, স্বাস্থ্য সম্পাদক মাহামুদুল হক চৌধুরী তপসির, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আনোয়ারুল ইসলাম আনু, মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক আব্দুল আলম, সমাজসেবা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জয়নাল হাজারী, তৌহিদুল ইসলাম, মো. শফি, মো. আলমগীর, হাবিবুর রহমান, বজলুল কাদের সাহেদ, এনামুল হক, আবু তৈয়ব, পৌরসভা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দীন শান্ত, মো. সেলিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেফায়াতুল কবির বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আরহান মাহামুদ রুবেল, খুটাখালী যুবলীগের আহব্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম মিঠু, যুগ্ন আহব্বায়ক মো. ওয়াসিম এম ইউপি, মো. ফারুক, আব্দু শুক্কুর, মো. ইমরান, হেলাল উদ্দীন, ডুলাহাজারা আহব্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, যগ্ন আহ্বায়ক হাসানুল ইসলাম আদর, আমান উল্লাহ্, আব্দু রশিদ হায়দার, মো. কাইছার, আবদুল আজিজ, জামাল উদ্দীন হাদি, রহিম, ফাঁসিয়াখালী সভাপতি নাজমুল হাসান লিটন, হাসনাত ইউছুপ, সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম, মোঃ আরাফাত, বাবুল, সাহাবউদ্দীন, চিরিংগা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল, সোহান, রাসেল, সুরাজপুর-মানিক আহব্বায়ক ফেরদৌস আলম, যুগ্ন আহব্বায়ক রুবেল, লারচরের সভাপতি সরওয়ার আলম, সাঃ সম্পাদক শেফায়েত হোসেন সাহেদ, কাকারা যুগ্ন আহব্বায়ক, নজরুল ইসলাম, রমিজ, কৈয়ারবিলের আহব্বায়ক আব্দু রশিদ, নুরুল মোস্তফা, জামশেদ আলম রুবেল, মিজানুর রহমান, রমিজ সিকদার, বরইতলী যুগ্ন আহব্বায়ক কামরুল ইসলাম, মোঃ কাইছার, সাহাবউদ্দীন, বমুবিলছড়ি সভাপতি ডা. মিজানুর রহমান, হারবাং সভাপতি মো. লিটন, সাঃ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, বেলাল উদ্দীন, আব্দু রউফ আরমান, নোমান, মোঃ এমরানসহ উপজেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত সভাপতি সাঃ সম্পাদক নেতৃবৃন্দ, আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।