এস এম জোবাইদ, পেকুয়া:
পেকুয়ার শিলখালী ইউনিয়নের হাজিরঘোনা সড়কের বেহাল দশা। কখন যেন শেষ হবে এ সড়কের জনদুর্ভোগ। প্রতিদিন মানুষের চলাচলে দুর্ভোগের কমতি নেই যেন এ সড়কে।

জানাযায়,হাজিরঘোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মূল সড়ক পর্যন্ত গ্রামীণ সড়কটি এখন মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সংষ্কারকাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় হাজিরঘোনা জামে মসজিদ সড়কটি এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।

মোস্তাক মেম্বারের বাড়ি থেকে হাজিরঘোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত সড়কের ৫ চেইনমত অংশ এখন খানা খন্দকে ভরপুর হয়ে গেছে। এক সময় ওই ৫ চেইন অংশে বার্ষিক উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে প্লাট সলিং দ্বারা উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন হয়েছিল। গত ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কে আর কোন পুন:সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শিলখালীর হাজিরঘোনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কটি এখন রূপান্তর হয়েছে কাঁচা সড়কে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে ওই সড়কের ৫ চেইন পর্যন্ত কাঁদায় ভরপুর। বৃষ্টি ও আর পিচ্ছিল কাঁদায় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা প্রায় থেমে গেছে। এতে করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় ও ইবাদত করাও অনেকটা কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। কাঁদায় সড়কটি নাজুক অবস্থায় বিদ্যমান হওয়ায় হাজিরঘোনা বাসীর যাতায়াতও প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। একটি সড়কের কারনে হাজিরঘোনা গ্রামের আর্থ সামাজিক অবস্থান প্রায় বিপন্ন।

হাজিরঘোনা জামে মসজিদ থেকে মোস্তাক মেম্বারের বাড়ি ছাড়াও সড়কটির দক্ষিণ অংশে সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আলম মেম্বারের বাড়ি হয়ে সাকুরপাড় প্রধান সড়ক পর্যন্ত ১৫ চেইন মত রাস্তাটিও প্রায় নাজুক অবস্থায়। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প থেকে প্রায় ২০ বছর আগে হাজিরঘোনার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়কের দক্ষিণ অংশ মাটি দ্বারা সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করেছিল। তবে অতি জনগুরুত্বপূর্ন ওই সড়কটিও প্রায় ২০ বছর ধরে কাঁচায় থেকে গেছে। ওই সড়কটিও ব্রীক সলিন দিয়ে সংষ্কার করা অত্যন্ত জরুরী।

কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের যাওয়ার জন্য সড়কটিতে সংষ্কারের জন্য স্থানীয়রা গত কয়েক বছর ধরে বালি, মাটি দিয়ে গর্ত ভরাট করে যাতায়াত করলেও এখন খুবই নাজুক অবস্থায় বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা আরো জানায়, অনেক জনপ্রতিনিধিরা আসে আর যায় উন্নয়নের ফুলঝুরি দিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু নির্বাচিত হলে আর সেই প্রতিশ্রুতির খবর থাকে না তাদের। কখন এ সড়কের জনদুর্ভোগ থামবে এমন প্রশ্ন সকলের।

ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা তাজ উদ্দিন ভূট্টো জানান, এ সড়কটি মূলত আমাদের জায়গা জমির উপর দিয়ে নির্মিত হয়েছিল। আমার পিতা অবিভক্ত বারবাকিয়ার মেম্বার ছিলেন। আমরা একটি সড়কের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থ ব্যয় করেছি। চেয়ারম্যান সাহেবের বাড়িও এখানে। অন্তত কিছু বরাদ্ধ দিলে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হত।

সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ নাঈম জানান, আসলে এখানে বৈষম্যের মধ্যে রয়েছি। আমরা কঠিন অবস্থায় শুধু একটি সড়কের কারণে।

মাষ্টার জোবাইর আহমদ জানান, মসজিদে যাওয়া কঠিন। আসলে এখানে জরুরী ভিত্তিতে বরাদ্ধ দিয়ে সড়কটি উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

সাবেক ইউপি সদস্য মর্জিনা আক্তার জানান, মানুষের দূর্ভোগ লাঘব করতে হলে এ সড়কটি দ্রুত সংষ্কার অত্যন্ত জরুরী। খালেদা বেগম, রোকেয়া বেগমসহ স্থানীয় নারীরা জানান, এখানে না আসলে বুঝা যাবেনা রাস্তাঘাটের কি অবস্থা।

এ প্রসঙ্গে শীলখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইন সিকদার জানান, এ সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এটি সংষ্কার করা খুবই প্রয়োজন। অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।