হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ:
টেকনাফে পাহাড়ি ঝর্ণায় গোসলের সময় কলেজ পড়ুয়া ৯ ছাত্রকে মুখোশধারী রোহিঙ্গা ডাকাতরা অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার এক ঘণ্টা পর মোবাইলফোন ও নগদ টাকা লুট করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টায় টেকনাফের পানখালী ঢালাস্থল পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণা এলাকায় শিক্ষার্থীরা অপহরণের শিকার হন।
হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, ‘পর্যটক সম্ভাবনাময় স্পট পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণায় অনেকে বেড়াতে আসেন। আবার অনেকে ঝর্ণায় গোসলেও নামেন। শুক্রবার সকালে স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া যুবকরা ঝর্ণায় নামেন। এসময় রোহিঙ্গা ডাকাতরা তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এতে কয়েকজন পালিয়ে আসলেও নয় জনকে ধরে রাখে। পরে মারধর এবং মোবাইলফোন ও টাকা লুট করে তাদের এক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তাদের সঙ্গে কথা বলছে। দিন দিন রোহিঙ্গা ডাকাত দলের হাতে অপহরণের ঘটনা বাড়ছে। মুক্তিপণ না দিলে মেরে ফেলারও ঘটনা ঘটছে।’ তিনি পর্যটন এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জানান।
ভিকটিম মিজানুর রহমান জানান, ‘আমিসহ কলেজ বন্ধুদের সঙ্গে পাহাড়ি স্বপ্নপুরি নামক ঝর্ণায় বেড়াতে যাই। সেখানে হঠাৎ অস্ত্রধারী পাহাড়ি ডাকাতরা তাদের ঘিরে ফেলে। এসময় কয়েকজন সহপাঠি পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। আরও কয়েকজন যুবককে ঘিরে রেখেছে ডাকাত বাহিনী। বিষয়টি অভিভাবকরা জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করে। এক ঘণ্টা পর মোবাইলসহ টাকা লুট করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেয় ডাকাতরা।’

ঝর্ণায় অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বলে জানিয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’