মোঃ নেজাম উদ্দিন, কক্সবাজার:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে কক্সবাজারের অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে বিজিবি।
১৫ আগস্ট সকালে লাবণী সৈকত পয়েন্টে ৩৩০টি অসহায় পরিবারের মাঝে ৩৪ বিজিবির পক্ষ থেকে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে উর্মি রেস্ট হাউস এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় ৩৪ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আব্দুল আজিজ ও সহকারী পরিচালক ইয়ার হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন জাতির জনক ও তার পরিবারে নিহত সবার মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতম করা হয়।
খাদ্য সামগ্রী পেয়ে অসহায় মানুষের মাঝে হাসি ফুটে উঠে। এসময় প্রতিবেদকের মাধ্যমে বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান তারা।
বীচ ক্যামরাম্যান মোঃ সাগর জানান, বিজিবি আজকে এমন কঠিন সময়ে এসে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের কারনে কক্সবাজারে পর্যটন আসছে না।
জেটস্কি চালক আরমান জানান, আমাদের সহায় হিসাবে এসেছে বিজিবি কক্সবাজার। এই সময়ে এক কেজি চাউল কিনতে আমাদের বেশ কষ্ট হচ্ছে।
এই সময়ে বিজিবির কাছ থেকে এই খাদ্য সামগ্রী পেয়ে আমরা খুশি।
সমুদ্র পাড়ের অস্থায়ী দোকানদার ফরিদ জানান, আমি আমার পরিবার নিয়ে কক্সবাজার থাকি। আমার একটি অস্থায়ী দোকান ছিল। লকডাউনের কারনে বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে চলতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। এমন সময় বিজিবির খাদ্য সহায়তা আমাদের অনেকটা কষ্ট লাগব হবে।
ঘোনাপাড়ার তৈয়বা বেগম জানান,আমরা এই করোনাকালিন সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খাদ্য অভাবে ছিলাম। আজকে বিজিবির দেওয়া উপহার খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুশি।
বিজিবির উপ-অধিনায়ক বলেন, এই করোনাকালিন সময়ে অনেক মানুষ অসহায় জীবন যাপন করছে। অনেকের কাজ নেই। সেই কথা মাথায় রেখে আজকে জাতীয় শোক দিবসে আমরা ৩৩০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি। খাদ্য সামগ্রী মধ্যে ছিল চাল, ডাল, লবণ ইত্যাদি।
তিনি আরো বলেন, ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলী হায়দার (বিজিবিএম, বিপিএম), তিনি সীমান্ত এলাকায় আরো ৩০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
সহকারী পরিচালক ইয়ার হোসাইন জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজকে আমরা এলাকার কিছু অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছি। সীমান্তরক্ষী বাহিনী শুধু সীমান্ত নয় আমরা সমাজ বিনির্মানে কাজ করে আসছি। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি সবসময়।